রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।—ফাইল চিত্র।
একের পর এক বিপর্যয় এবং রোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতা’র বিরুদ্ধে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে অভিযোগ জানাল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়া এবং বাগড়ি মার্কেটে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের কোনও দফতর দায় স্বীকার করেনি। কখনও মেট্রো রেল, কখনও ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় সারছে সরকার। বিপর্যয়ের মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘কোনও ঘটনা ঘটলে প্রথমেই বিচারকের ভূমিকা নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! তিনি যদি প্রথমেই একটা কথা বলে দেন, তার পরে আর তদন্ত নিরপেক্ষ হতে পারে? রাজ্যপালকে আমরা অনুরোধ করেছি, এত নৌকাডুবি, সেতুভঙ্গ বা আগুনের ঘটনায় সরকারি দফতরের দায় নির্দিষ্ট করা হোক।’’ বছর বছর ডেঙ্গির প্রকোপে মানুষ মারা যাচ্ছেন কিন্তু রাজ্য সরকার ‘ডেঙ্গি’ মানতেই নারাজ, এই অভিযোগও রাজ্যপালের কাছে করেছেন অধীরবাবুরা। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, সুখবিলাস বর্মা, অসিত মিত্র, ফিরোজা বেগম, কাজী আব্দুর রহিম, যুবনেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। পরে অধীরবাবু বলেন, ‘‘যে কোনও ভাবে, দুর্ঘটনা ঘটে বাঙালি মারা যেতে পারে কিন্তু ডেঙ্গিতে মরতে পারবে না! রাজ্য সরকারের মনোভাব যেন এই রকম। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও গবেষণার সাহায্য নিয়ে ডাক্তারদের সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক।’’