কাটোয়ার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পর এ বার মালদহের সুজাপুরের বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু) কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে কর্মিসভা শেষ করে শনিবার বিকেলে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী যখন দিল্লির বিমান ধরতে দমদম যাচ্ছেন, তখনই তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলবদল করছেন লেবুবাবু। তাঁকে দলে স্বাগত জানান তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের দলত্যাগ নিয়ে প্রয়াত বরকত গণিখান চৌধুরীর ভাই লেবুবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘দাদা উন্নয়নের জন্য কাজ করতেন। দিদিও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সেই উন্নয়নের কাজে সামিল। তাই আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’ মামার দলত্যাগকে অবশ্য কোনও গুরুত্ব দেননি লেবুবাবুর ভাগ্নী জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। তাঁর কথায়, ‘‘উনি কেন দল ছাড়লেন জানি না। তবে এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও লেবুবাবুর দলত্যাগকে আমল না দিয়ে বলেন, ‘‘লেবু কচলে তেতো হয়ে গিয়েছে। জেতার পর থেকে উনি সুজাপুরে বেশি সময় দিতেন না বলে জেলা কংগ্রেস থেকেই অভিযোগ উঠেছে। আগামী বিধানসভা ভোটে উনি যে দলের টিকিট পাবেন না, তা আগাম বুঝেই দল ছেড়েছেন লেবুবাবু।’’
লেবুবাবু কিন্তু অধীরের বিরুদ্ধে এ দিন একটি কথাও বলেননি। প্রদেশ সভাপতির উপর ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি কংগ্রেস ছাড়লেন কি না, জানতে চাইলে লেবুবাবু বলেন, ‘‘না না, ওঁর বিরুদ্ধে বা পক্ষে আমার কিছুই বলার নেই। মালদহের উন্নয়নের জন্যই তৃণমূলে এলাম। দিদির সাহায্য ছাড়া মালদহের উন্নয়ন সম্ভব নয়। মালদহে দাদার নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের জন্য দিদি জমি দিয়েছেন অনেক আগেই। মালদহে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব।’’ লেবুবাবুকে দলে স্বাগত জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞে সাড়া দিয়ে কয়েক দিন আগে রবীন্দ্রনাথবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একই কারণে লেবুবাবুও আজ দলে যোগ দিলেন। উনি আসায় মালদহে আমাদের সংগঠন জোরদার হবে।’’ লেবুবাবুর সঙ্গে এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের সভাপতিও।