সংখ্যালঘুদের দলে টেনে আইন অমান্য শুরু সোমেনদের

পরপর দলে যোগদানের অনুষ্ঠান করে সোমেনবাবুরা এখন বার্তা দিতে চাইছেন, লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যেও কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৪৯
Share:

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিচ্ছেন। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল, সিপিএম এবং মুসলিম লিগের এক ঝাঁক নেতা-কর্মীকে এ বার দলে নিল কংগ্রেস। তৃণমূলের তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শাখার নেত্রী কল্যাণী হালদার, সিপিএমের প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক ইফতেকার ইউসুফ এবং বাংলার মুসলিম লিগের রাজ্য সভাপতি শাহেনশা জাহাঙ্গিরের হাতে সোমবার দলের পতাকা তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। পরে বারাসতে আইন অমান্য কর্মসূচিতে গিয়েও স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীকে কংগ্রেসে নেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। পরপর দলে যোগদানের অনুষ্ঠান করে সোমেনবাবুরা এখন বার্তা দিতে চাইছেন, লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যেও কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ বাড়ছে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে এ দিন শুরু হয়েছে কংগ্রেসের আইন অমান্য কর্মসূচি। বারাসতে কংগ্রেসের মিছিলে ভিড় হয়েছিল ভালই। সোমেনবাবু, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, শুভঙ্কর সরকার, আব্দুস সাত্তার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) ও শহরাঞ্চলের সভাপতি অমিত ও তাপস মজুমদার হাজির ছিলেন কর্মসূচিতে। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভানেত্রী দীপা দাশমুন্সির নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল পুলিশের ত্রিস্তর বলয় ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। জলকামান-সহ পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল বিপুল। সোমেনবাবু সেখানে বলেন, ‘‘তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে জেলায় জেলায়।’’ লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় তাঁরা যে দলের সাংগঠনিক শক্তি পরীক্ষা করতে চান, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।

সিঙ্গুরে ‘কৃষিজমি, জীবন ও জীবিকা রক্ষা কমিটি’র হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সঙ্গী জাহাঙ্গির মুসলিম লিগের রাজ্য সভাপতির পাশাপাশিই জাতীয় সম্পাদক পদেও ছিলেন। তিনি মুসলিম লিগের সব পদ ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মীও এ দিন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জাহাঙ্গির বলেন, ‘‘মুললিম লিগ কেরল ও তামিলনাড়ুতে সক্রিয়। কিন্তু বাংলায় বিজেপি যে ভাবে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাদের সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছিল না। তাই আমার পুরনো দল কংগ্রেসের কাছেই ফিরে এলাম।’’ শাসক দল যাতে ‘অস্বীকার’ করতে না পারে, তার জন্য তৃণমূলের তফসিলি শাখার চেয়ারম্যান, সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সই করা কল্যাণীদেবীর নিয়োগের চিঠিও প্রকাশ্যে এনেছেন সোমেনবাবুরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন