বক্তব্য উস্কানি, শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

গত ২৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সম্প্রতি কাঁথিতে দলীয় সভায় উস্কানি ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য রেখেছেন বলে বিজেপি নেতা অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

কাঁথি কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো দূরঅস্ত, উল্টে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটল শাসক দল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করল কাঁথি থানার পুলিশ। গত ২৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সম্প্রতি কাঁথিতে দলীয় সভায় উস্কানি ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য রেখেছেন বলে বিজেপি নেতা অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

শুধু অমিত শাহ নন, একাধিক ফৌজদারি মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মতো শীর্ষ নেতাদের। কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি কাঁথি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগকারী দেশপ্রাণ ব্লকের আঁউরাই অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভুঁইয়ার দাবি, ‘‘দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু সভায় উত্তেজনা মূলক বক্তব্য রাখার জন্য ক্রোধবশতঃ বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায়। চাঁদবেড়িয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে ভাঙচুর, মারধর ও মোটর বাইকে অগ্নি সংযোগ করে। এতে দুটি বাইক পুড়ে গিয়েছে এবং ২৬টি বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।’’ এ ব্যাপারে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। অবশ্য গন্ডগোলের দিনই অমিত শাহর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও মিথ্যা বক্তব্য রাখার জন্য কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরি। তিনি বলেন, ‘‘অমিত শাহ যে ভাবে বলে গিয়েছেন লোকসভার ভোটের গণনা মিটে গেলেই রাজ্যে সরকার বিদায় নেবে। এমন অসম্ভব কথায় উৎসাহিত হয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি কর্মীরা।’’

এমন জোড়া মামলায় দলের ভোট বাড়বে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি সাংগঠনিক) তপন কুমার মাইতি বলেন, ‘‘যেখানে দশ মিনিট বক্তব্য রাখার জন্য সর্বভারতীয় সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদে থাকেন, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’’ তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, তিন দশক ধরে এলাকায় শান্তি ছিল। ২৯ তারিখ ওরা পরিকল্পনা করে এলাকায় অশান্তি ছড়াতে চাইছিল। তাঁরা প্রতিরোধ করায় ১১ জন কর্মী জখম হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেগুলির তদন্ত চলছে। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন