বাঁধ সাজত দুই নীলে, দাবি মিস্ত্রির

ঝাড়খণ্ডের আপত্তি ছিল নীল-সাদা নিয়ে। কিন্তু, সাদা রং থাকবে না জেনেও দুমকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ জানিয়ে দিচ্ছেন— ‘সাদা থাক বা না থাক, বাঁধের গায়ে নীলও থাকবে না!’

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত

দুমকা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৩১
Share:

মশানজোড় বাঁধ।

সাদা রংয়ের প্রলেপ থাকতই না মশানজোড় জলাধারে। আকাশি নীলের পাশে থাকত ‘স্যাটিন’ নীলের ছোঁয়া— এমনই দাবি করেছেন ওই জলাধারে রংয়ের কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, সাদা ‘প্রাইমারের’ উপরে পড়ত ওই দুই নীলের আস্তরণ।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের আপত্তি ছিল নীল-সাদা নিয়ে। কিন্তু, সাদা রং থাকবে না জেনেও দুমকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ জানিয়ে দিচ্ছেন— ‘সাদা থাক বা না থাক, বাঁধের গায়ে নীলও থাকবে না!’ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘নীল-সাদা বা নীল তৃণমূলের রং নয়। তৃণমূলের তো তেরঙা পতাকা। কোথাও একটা বোঝার ভুল হচ্ছে। আজ অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) দুমকায় গিয়েছিলেন। আশা করি সমস্যা মিটে যাবে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রঞ্জনকুমার ঝা দুমকায় যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও রং-বিতর্ক নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমএসের।

এ দিন দুমকা গিয়ে দেখা গেল, মশানজোড় বাঁধের ‘ওয়েলকাম গেট’-এ বিশ্ববাংলা লোগোর উপরে ফের ঝাড়খণ্ড সরকারের স্টিকার দেওয়া হয়েছে। মোটরবাইক সওয়ার এক যুবক বলে গেলেন— ‘‘ঝাড়খণ্ডের জমিতে পশ্চিমবঙ্গের খবরদারি চলবে না। ওয়েলকাম গেটে বিশ্ববাংলার অস্তিত্ব থাকবে না।’’ যদিও দুমকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই স্টিকার কে বা কারা সেঁটেছেন, তা তাঁরা জানেন না।

Advertisement

টানাপড়েনের জেরে জলাধার রং করার কাজ আপাতত থমকে। তবে, তাঁদের কাজে কেউ বাধা দেননি বলেই এ দিন জানান ঠিকাসংস্থার কয়েক জন রং-মিস্ত্রি। হইচই দেখে নিজেরাই কাজ থামিয়ে দেন। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘স্থানীয় রাজনৈতিক দলের লোকেরা সেচ দফতরের কর্তাদের কাছে ওই কাজ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। আমাদের হেড-মিস্ত্রি কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।’’ মিস্ত্রিরা জান জানান, বাঁধে ‘স্যাটিন’ নীল আর আকাশির প্রলেপ পড়ত। জলাধার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাদের হাতে, সেই সিউড়ি সেচ দফতরের এক কর্তাও বললেন, ‘‘দু’রকম নীল রং দিয়েই বাঁধ সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, প্রথমে সাদা প্রাইমার দেওয়ায় নীল-সাদা বলে মনে হয়েছে।’’ বাঁধের রং নিয়ে দু’রকম মত ঘুরছে মশানজোড়ে। এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা কাজ মেনে নিতে একেবারেই রাজি নন। সাধারণ গ্রামবাসীর একাংশ অবশ্য বিতর্কের সুষ্ঠু সমাধানের পক্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন