Convocation of Jadavpur University

সায় নেই আচার্যের, তুঙ্গে সমাবর্তন-বিতর্ক

বিধি অনুযায়ী প্রতি বছর যাদবপুরে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হওয়ার কথা। এ জন্য জরুরি কোর্ট বৈঠক ডাকা। এই বৈঠক করার জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্যের সম্মতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজভবনে লিখেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:০১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে আবার তুমুল বিতর্ক।

Advertisement

মামলা চলাকালীন রাজ্যপাল সমাবর্তন এবং সমাবর্তনের জন্য কোর্ট বৈঠকের অনুমতি দিচ্ছেন না বলে চিঠি পৌঁছেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পরেই বুধবার বিকেলে সমাবর্তন নিয়ে জরুরি কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠক ডেকেছিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “সমাবর্তন হবে। ইসির সদস্যেরা চাইছেন সমাবর্তন হোক। এর সঙ্গে পড়ুয়াদের স্বার্থ জড়িত। একে সমাবর্তন নাকি ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ডিং সেরিমনি বলা হবে সেই নিয়ে আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নেব।”

বিধি অনুযায়ী প্রতি বছর যাদবপুরে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হওয়ার কথা। এ জন্য জরুরি কোর্ট বৈঠক ডাকা। এই বৈঠক করার জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্যের সম্মতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজভবনে লিখেছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে রাজভবন সেই সম্মতি দিতে চাইল না। সমাবর্তন নিয়ে এ বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী করবেন, জানতে চেয়েছে রাজভবন।

Advertisement

এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করে লিখেছেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি তথা সুদীর্ঘ ঐতিহ্য এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ ও সুবিধের কথা বিবেচনা করে উচ্চশিক্ষা বিভাগ নানা আইনি জটিলতা সত্ত্বেও ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তনের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু মাননীয় রাজ্যপাল আইনি অনিশ্চয়তার কারণ দেখিয়ে সমাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কোর্ট মিটিং ডাকতেই সম্মতি দেননি’।

শিক্ষামন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘অথচ উনি একই আইনি পরিমণ্ডলে সরকারের অনুমোদন না নিয়েই একাধিক সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন করিয়েছেন। আসল লক্ষ্য কী ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ নয়’? রাজ্যপালকে ব্রাত্য ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ বলেও কটাক্ষ করেন।

সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসাবে কাকে ডাকা হবে তা কর্মসমিতির বৈঠকে স্থগিত রাখা হয়েছে।ইউজিসি-র চেয়ারম্যান এস জগদেশ কুমারকে ডাকার বিষয়টি ঠিক হয়েছিল। এ দিন রাজ্য-রাজ্যপাল মামলায় রাজ্যপালের পক্ষের আইনজীবীর জন্য দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার টাকা ফেরত আনা, গবেষণা প্রকল্পের টাকা, শিক্ষকদের প্রোমোশন-সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা) অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দফতরের বাইরেঅবস্থান শুরু করে।

জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, অন্তর্বর্তী উপাচার্য এই বিষয়ে রাজি না হওয়ায় এই অবস্থান। সূত্রের খবর, জুটার অবস্থান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে কর্মসমিতির বৈঠকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য অনলাইনেযোগ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন