‘বিশ্ব বাংলা’ বিতর্কে রাজনীতির জল আরও গড়াতে শুরু করল। যাঁর তোলা অভিযোগের জেরে আসরে নামতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে, সেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় মঙ্গলবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে নালিশ জানালেন দুই আমলা অত্রি ভট্টাচার্য এবং রাজীব সিংহের বিরুদ্ধে। অন্য দুই বিরোধী দলও ‘বিশ্ব বাংলা-কাণ্ড’কে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কলকাতায় অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের সময়ে ফিফার লোগোর সঙ্গে ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগো অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, এই মর্মে ফিফার কাছে নালিশ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।
মুকুলবাবু এ দিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিতর্কের জেরে এখন বলা হচ্ছে, কেউ নাকি তার স্বত্ব লাভের আবেদন তুলে নিয়েছেন। কিন্তু এ বছর ৮ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রেড মার্কস জার্নালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বিশ্ববাংলার মালিক দেখানো আছে। রাজ্যের দু’জন আইএএস অফিসার বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছেন।’’ অত্রিবাবু এবং রাজীববাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আর্জি জানাবে।
সরব কংগ্রেসও। কিন্তু মুকুল ‘বিশ্ব বাংলা’ নিয়ে অভিযোগ তুললেন বলেই কি কংগ্রেস এ বিষয়ে হইচই করছেন? অধীরের বক্তব্য, ‘‘মুকুলবাবু একটি রাজনৈতিক দল করেন। তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। দিদি-ভাইপোর মধ্যে স্বত্ব নিয়ে লড়াই হচ্ছে। এতে কারও রোজগার হয়ে থাকলে কী ভাবে হচ্ছে, মানুষের তা জানা উচিত।’’ তিন দফা দাবিতে তাঁদের মামলা প্রসঙ্গে সুজনবাবুরও ব্যাখ্যা, ‘‘মুকুল রায় এটা বলার এক বছর আগে থেকে আমাদের দলীয় মুখপত্রে এ নিয়ে লেখালিখি হচ্ছে। এখন মামলা করলাম। কারণ, রাজ্য সরকার এখন আসরে নেমেছে। রাজ্যের আমলারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’’