Coronavirus

হাসপাতালে আলো নিভিয়ে প্রদীপ

বেলপাহাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩২ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন সদ্যোজাত, ছ’জন আসন্নপ্রসবা। তবু নিভল আলো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলপাহাড়ি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০১
Share:

আলোয় সেজেছে বেলপাহাড়ি হাসপাতাল। রবিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রবিবার রাতে বেলপাহাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩২ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন সদ্যোজাত, ছ’জন আসন্নপ্রসবা। তবু নিভল আলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ৯টা বাজতেই নিভিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের আলো। হাসপাতাল ভবনের ভিতরে করিডর বরাবর সার সার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। বাইরে জানলায়, সিঁড়িতে এবং ছাদেও জ্বলছিল কয়েকশো প্রদীপ। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় জানান, রাত ৯টার আগে থেকেই হাসপাতালের কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কয়েক জন চিকিৎসক ও নার্স এই কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে ছিলেন। রোগীর ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘‘রাত ৯টায় হাসপাতালের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। কেবল বাইরের আলো জ্বলছিল। রাত ন’টা বেজে ৯ মিনিটে আলো জ্বালানো হলেও প্রদীপ জ্বলেছে অনেক ক্ষণ।’’

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এই কর্মসূচির বিরোধিতায় সরব হয়েছে। এর মধ্যে বেলপাহাড়ির মতো জঙ্গলমহলের একটা পিছিয়ে পড়া জায়গায় হাসপাতালে আলো নিভিয়ে দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। হাসপাতাল ভবনের ভিতরে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানোটা যে অত্যন্ত বিপজ্জনক কাজ হয়েছে, তা মানছেন স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। বেলপাহাড়ির বিএমওএইচ উত্তম মান্ডির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধাও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: থানকুনি খেলেই করোনা সারবে? ফোন হেল্পলাইনে

এ পরিকল্পনা কাদের? হাসপাতালের আর এক কর্মী জানান, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে সম্মান জানাতেই এমন কর্মসূচি পালনে উদ্যোগী হন কয়েক জন চিকিৎসক-নার্স। যুক্ত ছিলেন কর্মীদের একাংশও। তবে বিষয়টি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হবে, তা আঁচ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী। সূত্রের খবর, শুধু হাসপাতাল ভবন নয়, রবিবার রাতে হাসপাতাল লাগোয়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনেও প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘সিএমওএইচকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন