State News

কালোবাজারি, মজুতদারি রুখতে কড়া হচ্ছে নবান্ন

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম গত কয়েক দিনে বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০৪:১৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কালোবাজারি হলে প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম গত কয়েক দিনে বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শনিবার বলেন, ‘‘সুযোগ বুঝে কিছু লোক দাম বেশি নিচ্ছে, কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে (ইবি) জানানো হয়েছে। ইবি-র অফিসারেরা রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে অভিযান শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে।’’

এ দিন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারেরা কোলে মার্কেট, পোস্তা, বড়বাজার, মনিকতলা, ফুলবাগান, ভিআইপি মার্কেট, মেছুয়া ফলপট্টি, গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, টালিগঞ্জ বাজারে অভিযান চালান। তাঁরা জানান, কয়েকটি বাজারে আলু, চাল ও ডালের দাম গত কয়েক দিনের থেকে বেড়েছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ জানিয়েছে। ইবি জানায়, বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কিছু জিনিসের চাহিদা রাতারাতি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি জিনিসের দাম বেড়েছে। ইবি-র অফিসারেরা জানান, দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ ফের উঠলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন বেহালা, একবালপুর, মোমিনপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের কালোবাজারি রুখতে অভিযান চালান ইবি-র অফিসারেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, চিকিৎসক হোম কোয়রান্টিনে

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে প্রথমে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ-সহ বিভিন্ন আনাজের দামও মজুত করার জেরে বাড়ছে। পুলিশ জানায়, প্রশাসনের নির্দেশ মতো শনিবার থেকেই কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে না যায়। তবে, রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা শনিবার জানান, নাগালের মধ্যে জিনিসের দাম বেঁধে রাখার জন্য প্রশাসন সচেষ্ট হলেও নাগরিকদের একাংশ যে ভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি জিনিস বাড়িতে মজুত করছেন, তাতে কালোবাজারিদের সুবিধা হচ্ছে।

কলকাতা ও শহরতলী লাগোয়া বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে খাদ্য শস্য এবং আনাজের পাইকারি হাট ও বাজারের সংখ্যা প্রায় ৩০টি। জেলার বিভিন্ন জায়গায়ও বসে হাট, বড় বাজার। এ সব জায়গা থেকেই সমস্ত ছোট বাজার এবং বিভিন্ন দোকানে জিনিসপত্র পৌঁছায়। এ দিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধনের চালের দাম কেজিতে কমপক্ষে ২ টাকা বেশি এবং আনাজের দাম প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে পুরসভা ও প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন বাজারে হানাও দিচ্ছেন ইবি-র অফিসারেরা।

নবান্নের খবর, চলতি পরিস্থিতিতে বাজারগুলিতে বেআইনি মজুত ও অযথা দাম বাড়ানো রুখতে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, প্রতিটি পুলিশ সুপারকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হাতে গোনা কয়েকটি বাজারে আনাজের দাম কেজি প্রতি দু-তিন টাকা দাম বাড়তে পারে। সার্বিক ভাবে দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন