প্রতীকী ছবি।
গরমের ছুটির আগেই ভাইরাস-ভীতিতে টানা এক মাস ছুটি। ক্লাস বন্ধ। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য জানান, এ বার তাঁরা অনলাইনে রিপোর্ট কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। ১ এপ্রিল থেকে তাঁরা পড়ুয়াদের ‘স্টাডি মেটিরিয়াল’ বা পাঠবস্তু অনলাইনে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ জন অ্যান্ড্রু বাগুল জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলে আগে থেকেই অনলাইনে নোটস পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এ বারেও ১ এপ্রিল থেকে পড়ুয়াদের ই-মেল করে অনলাইনে নোটস পাঠানো হবে। শিক্ষকেরা বাড়িতে বসেই নোটস তৈরি করে পড়ুয়াদের মেল করতে পারবেন। ওই নোটসে কোনও রকম খটকা থাকলে ছাত্রছাত্রীরা ই-মেল করেই শিক্ষকদের প্রশ্ন করতে পারবেন।
ডিপিএস রুবি পার্কের অধ্যক্ষা জয়তী চৌধুরী জানান, ছুটির মধ্যে প্রতি ক্লাসের স্টাডি মেটিরিয়াল নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করা হবে। এ ছাড়াও আগামী বছর যারা বোর্ড পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য শিক্ষিকারা তাঁদের লেকচার ভিডিয়ো করে আপলোড করবেন। ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্র জানান, স্কুলের পাঠ্যবস্তু অনলাইনে পাঠানো হবে। তার পরেও পড়ুয়াদের যদি কোথাও খটকা লাগে, সেটা ‘ভারচুয়ালি’ অর্থাৎ বৈদ্যুতিন মাধ্যমেই দূর করা হবে। পড়ুয়ারা সব বিষয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেও তাদের খটকা দূর করতে পারে।
বিভিন্ন কলেজও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা চালু রাখার জন্য বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাহায্য নিচ্ছে। মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত জানান, তাঁরা ‘স্কাইপের’ মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছেন। সব বিষয়ের পাঠবস্তু কলেজের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষ রুম্পা দাস জানান, তাঁরা ভারচুয়ালি পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করছেন। সব বিভাগের শিক্ষক-পড়ুয়াদের নিয়ে আলাদা আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানেও ভিডিয়ো চ্যাটে পড়ানো হবে। গুগ্ল ক্লাসরুম, স্কাইপের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ‘হোম অ্যাসাইনমেন্ট’ বা বাড়ির কাজও দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।