Coronavirus

মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে পথে নামল কেন্দ্রীয় দল

মঙ্গলবার দুপুরে গুরুসদয় দত্ত রোডে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ কার্যালয়ে যান মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। সোমবার বিকেলেও নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের এক দফা বৈঠক হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গুরুসদয় দত্ত রোডে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ কার্যালয়ে যান মুখ্যসচিব। সেখানেই রয়েছেন এই পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। সেখানে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের বৈঠক হয়। এর পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ কেন্দ্রীয় দলটি বিএসএফের অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে যাদবপুরের দিকে রওনা হন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বিএসএফ এবং কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

এর আগে এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় দলটি বিএসএফের অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে যায়। সেখান কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে ফের তারা বিএসএফ অতিথিশালায় ফিরে আসে। তার পরে ওই সদস্যদের সঙ্গে সেখানে দেখা করতে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতা) দেবস্মিতা দাস-সহ কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা কিছু সময় পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তাঁরা চলে গেলে কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, সোমবার তাঁরা বিমানবন্দরে নেমে নাইসেড এবং নবান্ন ছাড়া কোথাও যাননি। নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়। কোন কোন জায়গায় যাবেন, তাঁদের সফরের কী পরিকল্পনা তা নিয়ে সবিস্তারে জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। এ বিষয়ে রাজ্যের সহযোগিতাও চাওয়া হয়। অপূর্ব আরও জানান, এ দিন বেরোতে গেলে তাঁদের জানানো হয়, লকডাউন চলছে। তাঁরা যেন না বেরোন। যদিও, নবান্নের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি এ বিষয়ে।

অপূর্ব চন্দ্রের অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্যে যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গিয়েছে, তারা রাজ্য সরকারের সব রকম সহযোগিতা পাচ্ছে। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন সহযোগিতা করছে না তা আমি বুঝতে পারছি না। সে কারণে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি এসেছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতা করা উচিত রাজ্যের, টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে পৌঁছনের আগে সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দলটি কেন এসেছে সেটা স্পষ্ট নয়। আগে থেকে আমাদের কোনও কিছু জানানো হয়নি। ফোন করে তাদের আসার কথা জানানোর ১৫ মিনিট পরেই শুনি দলটি কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে। যত ক্ষণ না তারা কী করতে এসেছে সেটা স্পষ্ট হবে, তত ক্ষণ তাদের রাজ্যে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হবে না।”

রাজ্য সরকারকে প্রায় না জানিয়ে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে এ দিন মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার টুইটারে তোপ দেগেছেন তিনি। ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেমন কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছেন রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে।’’

দ্বিতীয় দলটি সোমবার বিকেলেই বাগডোগরা পৌঁছয়। ওই দলের সদস্যেরা শিলিগুড়িতে এসএসবি-র গেস্ট হাউসে রয়েছেন। এ দিন সকালে থেকে তাঁরা কোথাও বেরোননি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন