Coronavirus in West Bengal

Coronavirus in West Bengal: রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত আবারও বেড়ে পাঁচশোর কাছে, সংক্রমণের হার ৫.১১ শতাংশ

রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৩ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ ১৯:৫৭
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত সাতশো ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। পরের দু’দিনে তা কিছুটা কমলেও রবিবার দৈনিক সংক্রমণে আবার বড় লাফ দেখা গেল রাজ্যে। দু’শোর ঘর থেকে সোজা পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছে গেল দৈনিক আক্রান্ত। চিকিৎসক মহল বার বার বলছে, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ নেই। ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই যে সংক্রমণে বৃদ্ধি ঘটতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দেওয়া হয়েছে। রবিবারের পরিসংখ্যানেও তা-ই স্পষ্ট হল। তবে দৈনিক সংক্রমণের হার নেমে পাঁচ শতাংশের কাছে চলে এল। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোনও কোভিড রোগীরই মৃত্যু হয়নি।

Advertisement

রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭২ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতার অধিবাসী। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কোভিড পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ৬৪২ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৫.১১ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ৩ হাজার ৭৭৭।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন