গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ। সামান্য কমল দৈনিক সুস্থতাও। গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চিন্তা বাড়িয়েছিল রাজ্য প্রশাসনের। প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ফের সংখ্যাটা নিম্নগামী হতে শুরু করেছে। শুক্রবার তার তুলনায় আরও একটু কমেছে। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮০১। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০৫।
দৈনিক সংক্রমণ কমায় যেমন কিছুটা স্বস্তি মিলেছে, তেমনই দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা কমতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা বেশি— এই প্রবণতাটা টানা বজায় রয়েছে। দু’দিন আগেই সুস্থতার সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৭৩ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৫৮। সুস্থতার হারও প্রতি দিন একটু একটু করে বাড়ছে। যেটা খুব সদর্থক একটা দিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শুক্রবার সুস্থতার হার ৯৩.৭৬ শতাংশ।
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাটা কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৪৯। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা হল ৮ হাজার ৯৬৬।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে এখনও শীর্ষে কলকাতা। তবে দৈনিক সংক্রমণ একটু একটু করে কমছে এই জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৪। এর পর রয়েছে হাওড়া (১৫৫), হুগলি(১৪৩), নদিয়া(১১২)।
মৃত্যুর নিরিখেও শীর্ষে কলকাতা। তবে দৈনিক মৃত্যুতে শুক্রবার কলকাতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই জেলায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সেখানে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তার পর রয়েছে হাওড়া। সেখানে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৬।