গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ফের তিন হাজার ছাড়াল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। গত দু’দিন এই সংখ্যাটা তিন হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। সুস্থের সংখ্যা কমতে থাকায় একটা উদ্বেগ বাড়ছিল রাজ্য প্রশাসনের। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৯ জন। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ২৩১। মঙ্গলবার কিছুটা বাড়লেও তা ছিল তিন হাজারের নীচেই। ফের সুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্বস্তি ফিরল রাজ্য প্রশাসনে। সুস্থতার হারও একটু একটু করে বাড়ছে। বুধবার এই হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.৬৪ শতাংশে।
দৈনিক সংক্রমণের বৃদ্ধিতে যেন কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার আরও একটু বাড়ল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৯৫১। দৈনিক সংক্রমণের থেকে দৈনিক সুস্থতা বেশি হলেও, প্রতি দিনই এই দুটোর মধ্যে ব্যবধান কমছে। এবং এই প্রবণতা বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত কয়েক দিনে মৃত্যুর গ্রাফটা কখনও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, কখনও আবার নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৮৬৭।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৫৩ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৬। তার পরেই রয়েছে হাওড়া এবং হুগলি।
এই দুই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে ১২৯ এবং ১৪১ জন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই দুই জেলায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যাটা মঙ্গলবারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে।
প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৩৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট ৬২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।