কেউ অ্যাসিড-হামলার শিকার হলেই কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের দাবি, ২০১৫ সালেই তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে অ্যাসিড-আক্রান্তদের তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত রাজ্যের কাছে জানতে চান, ‘কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা’র মানে তিন লক্ষেই সীমাবদ্ধ থাকা কি না। ১০ মার্চের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অ্যাসিড-হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত জন ক্ষতিপূরণ, আরও চিকিৎসার অর্থ, প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র, পুনর্বাসন ইত্যাদি দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি দত্ত গত সপ্তাহে নির্দেশ দেন, পুনর্বাসন, আরও চিকিৎসার অর্থ ইত্যাদি ব্যাপারে রাজ্য কী নীতি নিয়েছে, কী নির্দেশিকা তৈরি করেছে— সবই আদালতকে জানাতে হবে।
এ দিন সরকারের কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায় জানান, সেই নির্দেশের নথি দেখে সব জানানো হবে। রাজ্য লিগ্যাল এড সার্ভিসের মাধ্যমে আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার অ্যাসিড-আক্রান্ত তরুণী মণীশা পৈলানের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহরায় এ দিন জানান, তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেও অ্যাসিডে নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখের অস্ত্রোপচারে আরও টাকার দরকার। সেই টাকাও দেওয়া উচিত রাজ্যের।
বিচারপতি দত্ত সরকারি কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, চিকিৎসার অতিরিক্ত খরচ নিয়ে সরকার কী ভেবেছে এবং দ্রুত প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে রাজ্যের নির্দেশিকা কেমন। তিনি মুখ্যসচিবকে ১০ মার্চের মধ্যে সরকারের নীতি ও নির্দেশিকা জানাতে বলেছেন।