COVID-19

জলপাইগুড়িতে করোনা পরিস্থিতি ‘মারাত্মক’, অপ্রতুল চিকিৎসক-নার্সের সংখ্যা

জেলার ৮ টি ব্লকেই সেফ হোম করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন পরিষেবার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪২
Share:

জলপাইগুড়িতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

সংক্রমণের বৃদ্ধি ভয়াবহ আকার নিয়েছে জলপাইগুড়িতে। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই তথ্য জানিয়েছে। সেই সঙ্গে তারা এ-ও বলেছে যে, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেও রোগীদের দেখাশোনার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই জেলার সরকারি হাসপাতালে।

Advertisement

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তাই বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল জলপাইগুড়ি প্রশাসন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। কোভিড হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হবে শয্যা সংখ্যাও। তবে তার আগে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যভবনে আর্জি জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার জেলার করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক বসে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে। পরে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় বেসরকারি নার্সিংহোম, পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর-সহ সবাইকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কেন না জেলায় করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে।’’ বৈঠকে করোনা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মৌমিতা। জেলাশাসক আরও জানান, জেলার ৮ টি ব্লকেই সেফ হোম করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন পরিষেবার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, কোভিডের জন্য জলপাইগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার সুব্রত গুপ্ত, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্র নাথ প্রামাণিক-সহ বেসরকারি নার্সিংহোম ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘জেলার করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২৯ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন