সবং-কাণ্ডে গ্রেফতার ছাত্র পরিষদের আরও এক কর্মী

সবংয়ে ছাত্র খুনের ঘটনায় আরও এক ছাত্র পরিষদ (সিপি) কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুদীপ পাত্র। তাঁকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। সুদীপ সবংয়ের সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর তিন কর্মী-সমর্থক এবং সিপি-র এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুদীপকে মঙ্গলবার বিকেলে তোলা হবে মেদিনীপুর আদালতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৫ ১৫:৫২
Share:

ধৃত সিপি কর্মী সুদীপ পাত্র। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

সবংয়ে ছাত্র খুনের ঘটনায় আরও এক ছাত্র পরিষদ (সিপি) কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুদীপ পাত্র। তাঁকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। সুদীপ সবংয়ের সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর তিন কর্মী-সমর্থক এবং সিপি-র এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুদীপকে মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে তাঁর পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

দলের ছাত্র সংগঠনের আর এক কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিকে প্রতিষ্ঠার করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। সে জন্য থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ছাত্র পরিষদের ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, গ্রেফতারও করা হচ্ছে।’’ পুলিশের অবশ্য দাবি, কলেজের ভিডিও ফুটেজে গোলমালের যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে সুদীপকে দেখা গিয়েছে।

গত ৭ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয় চত্বরে খুন হন কলেজেরই ছাত্র কৃষ্ণপ্রসাদ জানা। সিপি কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ খুনে অভিযোগের তির ওঠে টিএমসিপি-র দিকে। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ছ’জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার রাতেই সানোয়ার আলি, অসীম মাইতি এবং শেখ মুন্না আলি নামে টিএমসিপি-র তিন জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু, ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কৌশলে এই খুনের জন্য সিপি-র অন্তর্দ্বন্দ্বকে দায়ী করেন। এর পর সেই তত্ত্বে কার্যত সিলমোহর দেন জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি জানিয়ে দেন, ঘটনার সময় অভিযুক্ত ও ধৃতদের সিসিটিভি-র ফুটেজে লাঠি হাতে দেখা যায়নি। চার দিনের বেশি টিএমসিপি-র তিন জনকে হেফাজতেও রাখেনি পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন।

Advertisement

এর পর গত ২০ অগস্ট কৃষ্ণপ্রসাদ খুনের ঘটনায় সিপি কর্মী পল্টু ওঝাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার ধরা হল সংগঠনের আর এক সমর্থক সুদীপকে। সুদীপের পরিবার সূত্রে খবর, গত কাল রাতে সুদীপকে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় ডেকেছিল পুলিশ। রাতে বাবার সঙ্গে থানায় এসেছিলেন ওই ছাত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ধৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন সুদীপ। ওই দিন কলেজে ‘ফি বুক’ আনতে গিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন