ফাইল চিত্র।
কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে জলের গ্লাসে ভিজিয়ে রেখেছিলেন মৌরি। অভ্যাস মতো সামান্য কিছু ব্যায়াম করে বসেছিলেন দলের রাজ্য দফতরে নিজের থাকার ঘরের চেয়ারে। দফতরের এক কর্মী চা দিতে এসে মনে করেছিলেন, বোধহয় চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েছেন তিনি। ভুল ভাঙল পরে। হাত-পা ঠান্ডা দেখে কর্মীরা ফোন করলেন অন্য নেতাদের। আনা হল চিকিৎসক। জানা গেল, মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চেয়ারেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা!
সদ্যই দ্বিতীয় বার দলের রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রবোধবাবু। বয়স ৭২ হলেও ডায়াবিটিস ছাড়া অন্য কোনও অসুস্থতাও ছিল না। তাঁর এমন আকস্মিক প্রয়াণে রুদ্ধবাক সিপিআই নেতা-কর্মীরা! তপসিয়ার সংরক্ষণাগারে এ দিন রেখে দেওয়া হয়েছে প্রয়াত রাজ্য সম্পাদকের দেহ। ভূপেশ ভবনে আজ, বুধবার দেহ আনা হবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। দুপুরে নিয়ে যাওয়া হবে মেদিনীপুর। যেখান থেকে ছাত্র ও কৃষক সংগঠনে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল প্রবোধবাবুর। ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের মৃত্যুর পরে ২০০১ সালে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন। তার পরে আরও দু’বার গিয়েছেন লোকসভায়। সদাহাস্যময় নেতার স্ত্রী ও এক পুত্র রয়েছেন। প্রবোধবাবুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিএম-সহ সব বাম দলের নেতৃত্ব। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।