—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জোর করে প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসিয়ে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবার। এমনই অভিযোগ এনেছে সিপিএম। তাদের তরফে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর অধীনস্থ সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ মেনস ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ রজ্য বিদ্যুৎ শিল্প সহায়ক ইউনিয়ন ও পেনশনার্স সমন্বয় সমিতির। তাদের অভিযোগ জোর করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর কৌশলে রাজ্যের মানুষকে প্রিপেড স্মার্ট ইলেট্রিক মিটার ব্যবহারে বাধ্য করছে। তবে সিপিএমের শাখা সংগঠনের আনা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সিপিএম সমর্থিত ওই সংগঠন দু’টির অভিযোগ, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের না জানিয়েই এই স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আগে টাকা জমা দিয়ে এই পরিষেবা পেতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে যদি মিটারে ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলেও অতিরিক্ত খরচ হবে গ্রাহকদেরই। এই বিষয়টি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে কোনও সমস্যা হলে তা থেকে সুরাহা পেতে বেগ পেতে হবে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। আগাম টাকা জমা দিয়ে বিদ্যুৎ নেওয়ার ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকেরা। এমনকি মাঝ রাতে যদি প্রিপেডের টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিদ্যুতের দামও চাহিদা অনুযায়ী ওঠানামা করবে। যা সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক সমাজ। ফলে কৃষিজ পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।
সিপিএম নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০০৩ সালের বিদ্যুৎ আইনে কোনও গ্রাহককে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেড মিটার ব্যবহারে বাধ্য করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দফতর এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাটি রাজ্যের মানুষকে বাধ্য করছে স্মার্ট মিটার নিতে। এমনটা হলে সাধারণ মানুষের গৃহস্থ জীবন তো সমস্যায় পড়বেই। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে দোকানপাট, হাটে বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। রাজ্য সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।’’ দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আসলে এমন অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। কোনও কোনও জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে স্মার্ট মিটার লাগানো হচ্ছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে স্মার্ট মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, এবং সেই পথেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বেসরকারি হাতে চলে যাবে এমন প্রচারের কোনও সারবত্তা নেই।’’