Chandannagar

Chandannagar: ৩২ বছর পর বামেদের জয় চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে, জিতলেন সিপিএমের অশোক

চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ কুমার নাথকে হারিয়ে ১৩০ ভোটে জিতলেন বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৭:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেল সিপিএম। জোর টক্করের শেষে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপকুমার নাথকে হারিয়ে ১৩০ ভোটে জিতলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৯০ সালের এই প্রথম বার এই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতল বামেরা। অর্থাৎ, হিসাব মতো ৩২ বছর ওই ওয়ার্ডে আবার উড়ল লাল পতাকা। এই জয়ের পর অশোক বলেন, ‘‘দীর্ঘ ৩২ বছর পর এই ওয়ার্ড আমাদের হাতে এল। এই জয় আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’’

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনে মোট ৩৩টি আসনের মধ্যে ৩২টিতে জয় পেয়েছিল শাসক দল তৃণমূল। তখন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড গিয়েছিল বামেদের দখলে। জিতেছিলেন বাম প্রার্থী অভিজিৎ সেন। তবে, বিজেপি প্রার্থী গোকুলচন্দ্র পালের মৃত্যুতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই সময় ভোট হয়নি। সেই ভোট হয় গত ২৬ জুন। ওয়ার্ডের ২ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন ৭৩ শতাংশ। তার মধ্যে সিপিএম প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫০.৪৭ শতাংশ। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৪৪.০৩ শতাংশ ভোট। এর ফলে চন্দননগর পুরনিগমের ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এখন বামেদের দখলে।

৩২ বছর পর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে লাল ঝান্ডা ওড়ার পর অশোক বলেন, ‘‘আজকের (বুধবার) এই জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আমাদের হাতে এল। মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। আজ নির্বাচিত হওয়ার পর আমি কোনও দলের কাউন্সিলর নই। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের কাউন্সিলর। সমস্ত দলের, সমস্ত কর্মীর কাউন্সিলর।’’ অশোককে শুভেচ্ছা জানিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে ভাবে দিল্লি চলছে, যে ভাবে রাজ্য চলছে, তাতে মানুষ তিতিবিরক্ত ও বিপর্যস্ত। তার মধ্যে এই জয়ের অর্থে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। চন্দননগরের মানুষকে শুভেচ্ছা।’’

Advertisement

বাম প্রার্থীর এই জয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি ও কংগ্রেস একজোট হয়ে সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন