বিশেষ হইচই না করেই মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলল সিপিএম ও কংগ্রেস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএম। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস প্রার্থী না দিয়ে সিপিএমকেই সমর্থন করবে।
দলের মধ্যে বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার পথ খুলতে পেরেছে সিপিএম। হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরে নির্বাচনী ক্ষেত্রে সেই কৌশলের প্রথম প্রতিফলন ঘটতে চলেছে মহেশতলাতেই। তবে যে হেতু একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, তাই দলের মধ্যে ফের কোনও জলঘোলা এড়াতে এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ প্রচারে নামার মতো কোনও পক্ষক্ষেপ করতে চাইছে না আলিমুদ্দিন। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দিয়ে আগামী বছরের লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রপ্রস্তুত করে রাখাই বঙ্গ সিপিএমের লক্ষ্য।
প্রথমে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও দক্ষিণ ২৪ পরনা সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী কথা বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে। মহেশতলায় তাঁদের প্রার্থীর জন্য সমর্থন চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রাথমিক ভাবে সমর্থনের সম্মতি দিয়েছেন অধীরবাবু। তবে সর্বভারতীয় দলের প্রথা মেনে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন এআইসিসি-র কাছেও। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পর্ব সেরেই বুধবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ঘোষণা করেছেন, মহেশতলায় সিপিএমের প্রার্থী হচ্ছেন প্রভাত চৌধুরী। তরুণ ওই নেতা আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সভাপতি ছিলেন, এখন দলের বিদায়ী জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল ইতিমধ্যেই মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসকে প্রার্থী করেছে।
বিমানবাবু এ দিন বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরোধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং শান্তিকামী সব মানুষের কাছে আবেদন— গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে সামিল হন।’’ আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘সূর্যবাবু আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা সমর্থন করতে রাজি। এআইসিসি-র সঙ্গেও কথা হয়েছে।’’ অধীরবাবুর মতে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বাংলায় বামেদের সঙ্গে সমঝোতায় বাধা দেবে না। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এআইসিসি-র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।