গুরুঙ্গের জন্যও দরজা খোলা রাখল সিপিএম

সমতলের দু’টি আসন তো বটেই, পাহাড়ের তিনটি আসনও ফাঁকা রেখে দিয়েছে বামফ্রন্ট। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০২:২২
Share:

বিমল গুরুঙ্গ। নিজস্ব চিত্র।

সমতলের দু’টি আসন তো বটেই, পাহাড়ের তিনটি আসনও ফাঁকা রেখে দিয়েছে বামফ্রন্ট। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

সমতলের আসন দু’টি কংগ্রেসের জন্য রাখা হয়েছে বলেই ধারণা। কিন্তু তা হলে পাহাড়ের আসনগুলি ফাঁকা রাখা হল কেন? রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্যই কেন্দ্রগুলি খালি রাখা হয়েছে। এমনকী, পাহাড়ের তিনটি আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে যে মোর্চার কথাবার্তা চলছে, তা-ও সামনে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে। মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা তো চলছেই। আমরা তৃণমূলকে হারাতে চাই। দেখা যাক, শেষ অবধি কী দাঁড়ায়।’’ আর জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, ‘‘আমরা পাহাড়ে প্রার্থী দিচ্ছি না। মোর্চার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তৃণমূলকে হারাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘সমতলের আসন দু’টি কংগ্রেসের। তাঁদের একটি জোরাল দাবি রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত হচ্ছে।’’

দলীয় সূত্রের খবর, ২০০৭ সালের আগে থেকেই ধীরে ধীরে পাহাড়ের সিপিএমের সংগঠন কমতে থাকে। মোর্চার উত্থানের পর থেকে এক সময় দলের জেলা পার্টি অফিসও বন্ধ হয়ে যায়। পরপর দু’টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিলেও সিপিএমের পাহাড়ে সংগঠন কার্যত তলানিতে ঠেকে। সেখান থেকে গতবার বিধানসভা লড়াই করেও পাহাড়ে খুব একটা জায়গা তৈরি করতে পারেননি বামেরা। এর মধ্যে রাজ্যের বিরোধী আসনে বসার পর মোর্চার সঙ্গে সিপিএমের ‘সম্পর্ক’ ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। সম্প্রতি তৃণমূল বিরোধী অবস্থান নেয় দু’দলই। কিছু দিন আগেই শিলিগুড়িতে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র মোর্চার সঙ্গে জেলার নেতাদের যোগাযোগ রাখার নির্দেশও দিয়ে যান। তার পরেই মোর্চা সভাপতিও তৃণমূল বিরোধী কোনও ফ্রন্টে তাঁরা থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বামেরাও বিজেপি বিরোধী হওয়ায় মোর্চা এখন কী ভাবে পরিস্থিতি সামলায়, তাই দেখার।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন