—ফাইল চিত্র।
বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চায় সিপিএম। কিন্তু তাতে আপত্তি দুই বাম শরিকের। তারা চায় বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের পথে থাকতে। তার জন্য আবার শরিকদের পাল্টা বিঁধছে সিপিএম। সব মিলে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির আগে বামফ্রন্টের অন্দরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
বাঁকুড়ায় আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাম শরিক আরএসপি-র রাজ্য সম্মেলন। তার আগে দলের বর্ষীয়ান নেতা ও বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘আমরা বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্বে থাকতে চাই। সিপিএম তা মানলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও ভাবতে হবে!’’ ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্মেলন আসন্ন এবং তারাও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রবল বিরোধী। দলের যুব নেতা ও বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ সেই সূত্রেই বলেছেন, ‘‘সিপিএমের সিদ্ধান্তের ফলে শরিকদের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়লে তার দায় সিপিএমকেই নিতে হবে!’’
দুই সতীর্থ বিধায়কের বক্তব্যের জবাবে বাম পরিষদীয় নেতা ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘সমদূরত্ব এখন চলে কী করে? বিজেপি এমন একটা বিপজ্জনক দল, যার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা চলে না। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তিকে একজোট হতে হবে এবং তার জন্য আরএসপি, ফ ব-ও উদ্যোগী হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’ তবে দুই শরিকের ‘হুঁশিয়ারি’র প্রেক্ষিতে তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আরএসপি, ফ ব কেরলে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতেই অভিজ্ঞ। ওদেরই তো বরং এই বিষয়ে বাড়তি উদ্যোগী হওয়ার কথা!’’ প্রসঙ্গত, কেরলে আরএসপি গত বার সিপিএমকে হারিয়ে লোকসভা আসন জিতেছে কংগ্রেসের সমর্থনে। আর বাম মোর্চা এলডিএফের বাইরে ফ ব-রও বোঝা়পড়া রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ভাবা হচ্ছে ‘নিরাপদ’ আসনের কথা, ডায়মন্ড হারবারে আর দাঁড়াচ্ছেন না অভিষেক?