সন্তোষপুর মোড়ে সিপিএমের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি বাধায় আমডাঙায় ঢুকতে না পারার অভিযোগে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন সিমিএম নেতা-কর্মীরা। যার জেরে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে সন্তোষপুর মোড়ের কাছে। সন্তোষপুর মোড় আমডাঙা থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে।
সোমবার সিপিএম নেতা-কর্মীদের একটি দল আমডাঙায় ঢুকতে যায়। তাঁদের কর্মসূচি ছিল, আমডাঙায় ঘটে যাওয়া হামলা-বোমাবাজির বিরুদ্ধে আমডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া। তার জন্য পুলিশের থেকে আগাম অনুমতিও নেওয়া ছিল বলে তাঁদের দাবি।
এ দিন উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি দল সন্তোষপুর মোড়ের কাছে পৌঁছলে পুলিশ রাস্তা আটকে দেয়। তাঁরা আর এগতে পারেননি। রাস্তার উপরেই বসে পড়ে থানায় যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সন্তোষপুর মোড়েই মাইক নিয়ে ভাষণ দেন তাঁরা। পুলিশের আগাম অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও, ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁদের যেতে দেওয়া হল না, তা জানতে চাওয়া হলে পুলিশ কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে সেলিম জানান।
আরও পড়ুন: কোষাগার বেহাল, ভোটের খরচ জোগাড়ের পথ খুঁজতে ‘ওয়ার রুম’ বৈঠক ডাকল কংগ্রেস
মহম্মদ সেলিম ফোনে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। পুলিশকে সভার কথা জানানো ছিল। এলাকায় কোনও ১৪৪ ধারা ছিল কি না দেখতে চেয়েছিলাম, দেখাতে পারেনি। তা সত্ত্বেও আটকানো হল আমাদের। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কালীঘাটের নির্দেশেই ঢুকতে দেওয়া হল না। আমাদের ঢোকা আটকাতেই পুলিশ বেআইনি ভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এ রাজ্যের পরিস্থিতিটা ঠিক কী এর থেকে স্পষ্ট আঁচ করা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কথা যাদের, তারাই বেআইনিভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আইন ভাঙছে।’’
উত্তর ২৪ পরগণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে ওঁদের কোনও মিটিং বা জমায়েত করার অনুমতি ছিল না। সে কারণেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’ তাঁদের আটকাতে সন্তোষপুর মোড় এবং আমডাঙা বিডিও অফিসের কাছে রাস্তা ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।