CPM

আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চায় সিপিএম

সামনে পুজোর মরসুম, যখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বাভাবিক কারণেই ভাটা পড়বে। পুরোদস্তুর উৎসবের মরসুম শুরুর আগেই রাস্তায় নেমে কর্মসূচির তীব্রতা বাড়িয়ে রাখতে চাইছে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৩
Share:

৯ সেপ্টেম্বর বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ-জমায়েতের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। ফাইল ছবি

সদ্য ছাত্র সমাবেশে নজরকাড়া ভিড় হয়েছে। জেলায় জেলায় আইন অমান্য এবং গণ-সংগঠনের সম্মেলন বা অন্যান্য কর্মসূচিতেও সাড়া মিলছে ভাল। সামনে পুজোর মরসুম, যখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বাভাবিক কারণেই ভাটা পড়বে। পুরোদস্তুর উৎসবের মরসুম শুরুর আগেই রাস্তায় নেমে কর্মসূচির তীব্রতা বাড়িয়ে রাখতে চাইছে সিপিএম। এক দিকে বিরোধী আন্দোলনের পরিসরে বিজেপিকে কোণঠাসা করা এবং অন্য দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।

Advertisement

দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে যে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে, তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ-জমায়েচের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডি-র উপরে ‘চাপ’ বাড়াতেই এই কৌশল। ছাত্র সমাবেশের পথ ধরে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় যুব সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ যুব নেতৃত্বের পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সেখানে বক্তা। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি এবং দুর্নীতির প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-নেতা আনিস খানের ‘হত্যা’র বিচারের দাবিও ফের ওই সমাবেশ থেকে তুলতে চায় সিপিএম।

চলতি সপ্তাহেই বুধ ও বৃহস্পতিবার দলের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডেকেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। জেলাভিত্তিক সংগঠন সংক্রান্ত বিষয় এবং আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি আলোচনা করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি সেখানে ঝালিয়ে নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত। পরিকল্পনা হবে শ্রমিক সংগঠনকে সামনে রেখে আরও সমাবেশেরও।

Advertisement

তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করেই তাঁরা যে এগোতে চান, তা স্পষ্ট করে দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেছেন, ‘‘দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। নারদ-কাণ্ডের তদন্ত ঠিক মতো হলে কেন্দ্রীয় সংস্থার শুভেন্দু অধিকারীকেও ডাকতে হবে। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সেই কথাই আমরা বলে আসব।’’ দুর্নীতির সব মুখ ধরা পড়লে সিবিআই, ইডি বা সিআইডি কোনও সংস্থার তদন্তেই তাঁদের অসুবিধা নেই বলেও জানিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সোমবার বলেছেন, ‘‘সিবিআই-ইডি এখন তৎপর হয়ে নানা চুনোপুঁটি ধরছে! উপর তলার লিঙ্কম্যান, ৩৫ প্লটের কালীঘাটে তদন্ত পৌঁছবে কবে? সিবিআই-ইডি’কে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সিআইডি-ও তদন্তে যাচ্ছে, টাকা উদ্ধার হচ্ছে!’’

এরই মধ্যে সিপিএমের আইনজীবী-সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কলকাতার মেয়র থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে জন্মের শংসাপত্র নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করার পরে এত দিনেও অভিযোগের কোনও প্রমাণ সামনে আসেনি, তদন্তও হয়নি। বিকাশবাবু ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭ দিনের মধ্যে সেই শংসাপত্রের ফাইল এবং তৃণমূল আমলে স্বাস্থ্যে নিয়োগের ফাইল সিবিআই দফতরে পাঠিয়ে দিন। তিনি লড়াইয়ে প্রস্তুত। শাসক দলের এক রাজ্য নেতা বলেছেন, ‘‘বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারেই রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন