বিড়ম্বনা: সেবকে বন্ধের জের। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
লাগাতার বন্ধ চলছে পাহাড়ে। তার ধাক্কায় এ বার টান পড়েছে রক্তেও। তাই রক্তের সঙ্কট সামাল দিতে প্রশাসনের উদ্যোগে সমতলে রক্তদান শিবির আয়োজন করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারই ইসলামপুরে এমন একটি শিবির আয়োজিত হয়েছে।
পাহাড়ে বন্ধ চলছে বলে রক্তদান শিবিরও বন্ধ। কোনও রাজনৈতিক দল, ক্লাব বা সরকারি উদ্যোগেও রক্তদান শিবির হয়নি সম্প্রতি। পাহাড়ের তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্কে মাসে গড়ে বারোশো ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। এই পরিমাণ রক্ত সমতলের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে পাঠালে সেখানেও সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সে কারণেই পাহাড়ের ঘাটতি পোষাতে সমতলে অতিরিক্ত শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।
তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছে, শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত চাইতে আসা একজনকে এখনও খালি হাতে ফেরানো হয়নি। দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়াং তিন হাসপাতালেই ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্কেই প্রয়োজনের তুলনায় রক্ত রয়েছে সামান্যই। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, কুড়ি থেকে ত্রিশ শতাংশ পর্যন্ত রক্ত রয়েছে। কোনও দিন চাহিদা বেশি হলেই তা সামলানো সমস্যা হয়ে যাবে। দার্জিলিঙের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘রক্ত নিয়ে সমস্যা তো হচ্ছেই। তবে পাহাড়ের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে একজনও রক্ত চেয়ে পাননি এমন হয়নি।’’ চিকিৎসকেরা বলছেন, যে টুকু রক্ত রয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। কেননা বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত থাকা দরকার। কোনও একটি গ্রুপের রক্ত কম হয়ে গেলেই সমস্যা হতে পারে।
মোর্চা নেতারা এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মোর্চা নিজেই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে।’’ ইসলামপুরে যে সংগঠনটি শিবিরের আয়োজন করেছিল, তার এক কর্তা বাপন দাস বলেন, ‘‘পাহাড়ে শিবির সম্পূর্ণ বন্ধ। সমতলের সংগঠনগুলি এগিয়ে না এলে পাহাড়ের হাসপাতালের চিকিৎসাধীনেরা রক্তই পাবেন না।’’