প্রতীকী ছবি।
ডায়ালিসিসের চ্যানেল করতে গিয়ে এক মহিলার ঠাঁই হয়েছে সিসিইউতে। শুক্লা পাল নামে ওই মহিলার অবস্থা সঙ্কটজনক বলেও দাবি তাঁর পরিবারের। শুক্লার স্বামী দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চক ভবানী এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ পাল। মঙ্গলবার তিনি কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকার একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং কর্তৃক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্যের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করেছেন প্রদীপবাবু।
প্রদীপবাবুর দাবি, ডায়ালিসিসের চ্যানেল করতে গিয়ে গলায় দু’টো ফুটো করায় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তাঁদের কাছে প্রথমে গোপন রেখে শুক্লাদেবীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। গত ৯ দিন ধরে সিসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে শুক্লাদেবীকে। মেডিক্যাল বোর্ড করেও তাঁর স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলে দাবি প্রদীপবাবুর।
বরং ওই বেসরকারি হাসপাতাল প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বিল করে তা জমা দিতে চাপ দিচ্ছে বলে প্রদীপবাবু অভিযোগ করেন। ওই বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি। রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। চিকিৎসা বাবদ কোনও খরচ হাসপাতালকে দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। দু’পক্ষকেই বসিয়ে শুনানি শুরু হবে।
প্রদীপবাবু প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁর দাবি, ১২ জুলাই স্ত্রীকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান। তার পরের দিনই শুক্লাদেবীর গলায় চিকিৎসা বিভ্রাট ঘটে বলে তাঁর দাবি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁর ভুল আমার কাছে স্বীকার করেছেন।’’ শুক্লাদেবীর হিমোগ্লোবিন রাতারাতি কমে গিয়েছে বলেও প্রদীপবাবুর দাবি। তিনি গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন।