Cyclone Amphan

কার্যত স্বাভাবিক হয়েছে শহরাঞ্চল, বলল নবান্ন

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ৫৮টি ট্রান্সমিশন বা সংবহন সাবস্টেশন ফের সচল হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

ছবি পিটিআই।

আমপানের ধ্বংসলীলায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের বিদায়ের ছ’দিন পরে শহরাঞ্চলের জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ‘কার্যত’ স্বাভাবিক হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গেই নবান্ন জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির গ্রামাঞ্চলে অন্তত দু’লক্ষ সরকারি কর্মী ‘যুদ্ধকালীন’ তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ করে চলেছেন।

Advertisement

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ৫৮টি ট্রান্সমিশন বা সংবহন সাবস্টেশন ফের সচল হয়েছে। ২৭৩টি ডিস্ট্রিবিউশন বা পরিবহণ সাবস্টেশনের মধ্যে ২৫৯টি আবার কাজ শুরু করেছে। শহরাঞ্চলে ৯০% ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ পরিষেরা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আমপান কবলিত ১০৩টি পুরসভা এলাকার মধ্যে ৯৪টিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক বা প্রায়-স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ‘‘কোথাও কোথাও ঈষৎ ভাবে বিচ্ছিন্ন পকেট থেকে থাকতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে সেই সব ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে,’’ বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব।

আলাপনবাবু জানান, ন’টি পুরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা কাজ করে চলেছে। পূজালি, বজবজ, রাজপুর-সোনারপুর, জয়নগর,বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ, গোবরডাঙা, অশোকনগর, হাবড়া পুর এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পূজালির পরিস্থিতি তুলনায় বেশি জটিল বলে জানিয়েছে সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎহীন এক লক্ষ, সিইএসসি-র উপর চাপ রাখছে রাজ্য

কলকাতা ও শহরতলির বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘‘সিইএসসি-র উপরে ক্রমাগত চাপ রেখে চলেছে সরকার। রাজস্থান থেকেও লোকজন এনে কলকাতায় কাজ করছে সিইএসসি।’’ স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য তারা বাড়তি লোক নামিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি। তাদের আশ্বাস, কসবা, নেতাজিনগর, পাটুলি, রাজডাঙা, রিজেন্ট পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

আরও পড়ুন: আমপান-ধ্বস্ত কবর জুড়ে মৃত গাছেরা

স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, শহরের সব জলের পাম্প, নিকাশি প্রকল্পে বিদ্যুৎ দেওয়া গিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ১৩২০টি জল প্রকল্পের মধ্যে ৭৮৫টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া গিয়েছে। তবে দুই ২৪ পরগনার ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত ব্লকগুলির জল প্রকল্পগুলিতে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে কি না, তা আলাদা ভাবে জানাননি স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, ‘‘সরকার ৫০ লক্ষ জলের পাউচ, ৫০০ জলের ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল বিলি করেছে।’’ ত্রাণ শিবিরগুলিতে এখনও তিন লক্ষ মানুষ আছেন। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রিপল, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন