গাছ বিক্রি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির ‘গুলি-বোমা’, তপ্ত খেজুরি

ঘটনার প্রতিবাদে হেঁড়িয়ায় ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে পুলিশ অবরোধ তোলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৪:২৬
Share:

আহত পবিত্র। নিজস্ব চিত্র

আমপানে ভাঙা ঘরের ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ ছিলই। এ বার সেই ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙা গাছ বিক্রিতে দুর্নীতির নালিশ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি ধুন্ধুমার বাধল। রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে ওই গোলমালে বোমা-গুলি চলে বলেও অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, দলের জেলা সম্পাদক পবিত্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম আরও চার মহিলা সমর্থক। তৃণমূলও তাদের তিন কর্মীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। রাজকুমার দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী নিখোঁজ বলেও অভিযোগ।

Advertisement

খেজুরি-২ ব্লকের কটকা দেবীচক গ্রামে আমপানে ভাঙা ঘরের ক্ষতিপূরণে বিজেপি কর্মীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ ছিলই। গত শুক্রবার গোলমাল বাধে ঝড়ে ভাঙা গাছ বিক্রি নিয়ে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত টেন্ডার ছাড়াই গাছ বিক্রি করছে— এই অভিযোগে সে দিন পবিত্রর নেতৃত্বে সরব হন বিজেপি কর্মীরা। তার পাল্টা হিসেবেই এ দিন সকালে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পবিত্র-সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বোমা, গুলিও নাকি ছোড়া হয়।

ঘটনার প্রতিবাদে হেঁড়িয়ায় ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে পুলিশ অবরোধ তোলে। জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। দু’পক্ষের কেউই লিখিত অভিযোগ করেনি।’’ বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী জানান, এসডিপিও-কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার লিখিত অভিযোগ করা হবে। রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। কটকা দেবীচক এবং হলুদবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাস্তা সারাই সেই বর্ষাতেই, ফের প্রশ্নের মুখে পুরসভা

হাসপাতালের পথে গুরুতর জখম পবিত্রর দাবি, ‘‘তৃণমূলের বিধায়কের নেতৃত্বেই গামছায় মুখ ঢেকে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। আমার বাঁ হাতে গুলি ছোড়ে।’’ পবিত্রকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘হাতে আঘাত রয়েছে। ওই আঘাত গুলির কি না এক্স-রে না হলে বোঝা যাবে না।’’ বোমা-গুলি নিয়ে হামলার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়েছেন খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণ়জিৎ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শনিবার রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চালায় বিজেপি কর্মীরা। আমাদের আরও ছয় কর্মীর বাড়ি ভাঙে। এ দিন সকালে ওরা পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করে।এই ঘটনার জেরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের প্ররোচনাতেই হামলা।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি, তথা সাংসদ শিশির অধিকারীর ব্যাখ্যা, ‘‘এটা পুরনো ও নতুন বিজেপি কর্মীদের রেষারেষির জের। তৃণমূল জড়িত নয়।’’

আরও পড়ুন: আমপান ত্রাণের টাস্ক ফোর্সের মধ্যেও অভিযুক্ত!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন