যতদূর চোখ যায়। কৃষ্ণনগরে ব্যাঙ্কের সামনে ফর্ম তোলার লাইন। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকে টেট ফর্ম পেতে আর পরীক্ষা প্রার্থীদের রোদে-জলে ভিজে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। খেতে হবে না পুলিশের লাঠির ঘা-ও। না, রাজ্য সরকারের কোনও পদক্ষেপ নয়! প্রার্থীদের সুবিধার্থে এই ‘অতি তৎপরতা’ দেখা গিয়েছে নদিয়ার কিছু স্থানীয় যুবকদের মধ্যে। যারা এই সুযোগেই নিজেদের আখের গোছানোর রাস্তা বেছে নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, টাকার বিনিময়ে প্রার্থীর হয়ে লাইনে ঠায় দাঁড়িয়ে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে তারা, আর সকাল হলেই সেই লাইনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আসল পরীক্ষা প্রার্থীকে। ক্লান্ত মুখের ভিড়ে এই বেমানান মুখগুলো খুব সহজেই হয়ে উঠছে নজরকারা। আর বেআইনি ভাবে লাইনে ঢুকে পড়া এই প্রার্থীদের কিছু বললে সামাল দিতেও প্রস্তুত এই ‘দাদা’রা। অভিযোগ, একজোট হয়ে লাইনের অন্য প্রার্থীদের হুমকিও দেওয়ার কাজ চলছে। এই এত কিছুর বিনিময়ে প্রার্থীর থেকে তার দাবি ‘মাত্র’ ১০০০ টাকা।
ফর্ম তোলার লম্বা লাইন। ব্যারাকপুরে সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি
শুক্রবার সকালে কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজারের কাছে চোখের সামনে এই ঘটনাই দেখা গেল।
প্রাথমিকের টেটের ফর্ম না পেয়ে বৃহস্পতিবারই রঘুনাথগঞ্জে রাস্তা অবরোধ করেন প্রার্থীরা। কৃষ্ণনগরে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ পরীক্ষা প্রার্থীদের উপরে লাঠিচার্জ করে। লম্বা লাইনে রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে বেলডাঙায় এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে প়়ড়েন। এর পরেও বেআইনি ভাবে টাকা নিয়ে ফর্মের জন্য লাইন রাখায় পরীক্ষা প্রার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।