পাহাড়ে অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করলেন, একই সঙ্গে রাজ্য সরকারে আলোচনার পথেই ভরসাও রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আরএসএসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার শিলিগুড়ি পৌঁছন কৈলাস। সেখানে দাবি করেন, পাহাড়ে অশান্তির মূলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভাজনের রাজনীতি।
বিজয়বর্গীয়ের কটাক্ষ, ‘‘উনি নিজের দলের অন্দরেও বিভাজনের রাজনীতি করেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পাহাড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মিটবে বলে বিশ্বাস করি। আলোচনা চলছে, আলোচনা চলুক।’’ বিমল গুরুঙ্গের প্রতি বিজেপির একাধিক নেতারা অতীতেও সহানুভূতিশীল থেকে বিবৃতি দিয়েছেন। যদিও এ দিন কৈলাসের মন্তব্যে বিনয়পন্থীরাই যথেষ্ঠ উৎসাহিত। তাঁদের দাবি, কৈলাসের কথা থেকেই স্পষ্ট যে, রাজ্যের আলোচনা প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র তথা বিজেপির সায় রয়েছে। এই আলোচনায় গুরুঙ্গপন্থীরা ব্রাত্য। বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপারাই কথা বলছেন। কিন্তু এর মধ্যে বিমল গুরুঙ্গ বিজেপির উপরে চাপ তৈরি করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে আলোচনায় না ডাকলে এনডিএ ছাড়বেন।
এ অবস্থায় দিল্লি থেকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে সূত্র খোঁজারও চেষ্টা চলছে। এ দিন বিজয়বর্গীয়ও দার্জিলিং জেলা বিজেপি নেতাদের জানিয়েছেন, পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। তবে সেই বৈঠকের প্রস্তাব এবং প্রক্রিয়া রাজ্য সরকারই ঠিক করবে। কেন্দ্রের একটি অংশেরও বক্তব্য, জিটিএ-র কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বিনয় তামাঙ্গকে বাদ দিয়ে ত্রিপাক্ষিক ডাকা সম্ভব নয়।
বিজয়বর্গীয়ের অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘পাহাড় নিয়ে বিজেপির অবস্থান হল অশান্তি তৈরি করা। মুখ্যমন্ত্রীর নিরন্তর চেষ্টায় পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে।’’