সপ্তমীতে বন্ধ ওঠার পরে চেনা মেজাজ খানিক ফিরে এসেছিল পাহাড়ে। ‘দশাই’য়ের দিনেও তার আমেজ যেন আরও বাড়ল।
পাহাড়ে বিজয়া দশমীর দিনে ‘দশাই’ পালিত হয়। নেপালি ভাষাভাষীদের রীতি মেনে দেবী দুর্গার পুজো হয়। এ দিনও সারাদিনই পাহাড়ে উৎসবের মেজাজে ‘দশাই’ পালিত হয়েছে। এমনিতে গাড়ি চলাচল কম থাকলেও এ দিন সকালের দিকে কিছু গাড়ি চলেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং বা কার্শিয়াঙের অনেক বাসিন্দা সমতলে উৎসবে সামিল হতে নেমে এসেছেন। কেউ হোটেল বা আত্মীয়দের বাড়িতে থেকে দেবীর বিসর্জনে যোগ দিয়েছেন। অনেকে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে আগামী মঙ্গলবার অবধি থাকার পরিকল্পনা নিয়েও এসেছেন।
আরও পড়ুন: কোর্টে মুক্ত পদত্যাগী মন্ত্রী, স্বস্তি সিপিএমের
শনিবার শিলিগুড়ির লালমোহন মৌলিক ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা যায় পাহাড়ের এমন অনেক বাসিন্দাদেরও। কার্শিয়াং ও দার্জিলিঙের পুজো মণ্ডপেও এ দিন সিঁদুর খেলেছেন মহিলারা। সকাল থেকে পাড়া-পড়শিকে শুভেচ্ছা জানাতেও বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। ধীরে-ধীরে পাহাড়ের হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউসগুলি খোলার প্রস্ততিও শুরু হয়েছে। কিছু কিছু করে পর্যটকেরও দেখা মিলছে। এ দিন ম্যাল চৌরাস্তা, চক বাজার, জজবাজারে ঠান্ডার আমেজে ঘুরতে দেখা গিয়েছে অনেককে। কেভেনটার্স বা গ্লেনারিজে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে। চকবাজার এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের দেখা মিলছে। পুজোর ছুটিতে অনেকে পাহাড় আসা বাতিল করেছেন। তাঁদের অনেকে ডুয়ার্স বা সিকিম চলে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাঁদেরই কেউ-কেউ পাহাড়ে এসে দিনভর ঘুরে যাচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে দীপাবলিতে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা।