মেধাবৃত্তি নিয়ে দেরি, সচিবদের তিরস্কার শিক্ষামন্ত্রীর

কাজে দেরি বরদাস্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন। এ দিন সাইট উদ্বোধনের পরে শিক্ষামন্ত্রী জানতে পারেন, অনলাইনে মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন এবং বৃত্তি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে মার্চ গড়িয়ে যাবে। আবেদন করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:২০
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানটি ছিল স্নাতকোত্তর স্তরে ছাত্রীদের ‘স্বামী বিবেকানন্দ মেধাবৃত্তি’ প্রকল্পের ওয়েবসাইট উদ্বোধনের। সোমবার বিকাশ ভবনে তার উদ্বোধন করতে গিয়ে সচিবদের কাজকর্ম নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনেই পরের পর প্রশ্নবাণে কার্যত তিরস্কার করলেন সচিবদের।

Advertisement

কাজে দেরি বরদাস্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন। এ দিন সাইট উদ্বোধনের পরে শিক্ষামন্ত্রী জানতে পারেন, অনলাইনে মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন এবং বৃত্তি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে মার্চ গড়িয়ে যাবে। আবেদন করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরে। তা জেনেই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে ওঠেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এত দেরি কেন?’’ সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব রাজীব শুক্ল, সচিব মধুমিতা রায়-সহ কিছু কর্তা। প্রশ্নটা তাঁদের উদ্দেশেই।

সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক জানান, অনেক দিন পুজোর ছুটি রয়েছে। তা-ই...। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পার্থবাবু। বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে ছুটি থাকলেও অনলাইন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে নাকি? সেটা যদি না-হয়, তা হলে এ-সব ভাবা হচ্ছে কেন? তা হলে অনলাইন চালু করার অর্থ কী? ছুটির সঙ্গে অনলাইনের কী সম্পর্ক?’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ধর্মগুরুর নির্দেশে বন্ধে অনড় গুরুঙ্গ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর এক অনুষ্ঠানে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন মন্ত্রী। মেধাবৃত্তি নিয়ে সবে বলতে শুরু করেছেন, তখনই মঞ্চের নীচে থেকে হাত জড়ো করে কাঁদতে কাঁদতে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিকাশ ভবনে গিয়ে বারবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। মেধাবৃত্তি পাননি তিনি। এ দিন সেই ঘটনার রেশ টেনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেধাবৃত্তি ঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। এটা আর মোটেই হতে দেওয়া যাবে না। সেই জন্যই অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।’’

অন্য এক সচিব যুক্তি দেখান, বৃত্তি দেওয়া হয় মেধার ভিত্তিতে। তাই কে কত নম্বর পেয়েছেন, সেই তালিকা তৈরিতে সময় লাগে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন কেটে গেলেই তো তালিকা হাতে চলে আসার কথা। তার পরে সহজেই মেধার ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা যায়। তা হলে দেরি হবে কেন?’’

সদ্য উদ্বোধন হয়েছে, এমন একটি প্রকল্পের রূপায়ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রীর প্রশ্নের পর প্রশ্নের ধাক্কায় পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে হয়ে যায়। সচিবেরা শেষ পর্যন্ত জানান, মেধাবৃত্তি প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা হবে। মন্ত্রীও জানান, ছাত্রীরা যাতে দ্রুত এই বৃত্তি পান, তারই ব্যবস্থা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন