—ফাইল চিত্র।
গরু পাচার, কয়লার কারবার এবং তার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্র খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিশেষ দল পাঠালেন সিবিআইয়ের অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্ল। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, দিল্লির সদর দফতরের স্পেশ্যাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট(এসআইইউ) এর ডিআইজি প্রেম গৌতম কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, সদর দফতর থেকে কলকাতায় এসে ওই ডিআইজি আয়কর কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন। অনুপ মাঝি ওরফে লালার অফিস-বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি মিলেছে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে দাবি। গরু-কয়লার টাকাতেই দুবাইয়ে এক প্রভাবশালী সম্প্রতি একটি রিসর্ট কিনেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তারা। কয়েক জন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গরু পাচার কাণ্ডের টাকা অন্য ব্যবসায় ঢুকেছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
পাচারের টাকার অংশ রাজনৈতিক নেতাদের হাতেও এসেছে কি না, তা-ও বুঝে নিতে দিল্লির দল কলকাতায় এসেছে বলে তদন্তকারীদের একাংশ জানান। পাশাপাশি স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অফিসারদের কলকাতা পাঠিয়ে অধিকর্তা দেখে নিতে চান, সিবিআইয়ের অন্দরেই পাচারের টাকা ‘হজম’ হয়েছে কি না।
এর আগে অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে তৎকালীন কর্মরত সিবিআই অফিসারদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই সূত্রের খবর, কয়লা ও গরুর কারবারের নেপথ্য নায়কদের সম্পর্কে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জন্য রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার এবং এনামুলের কারবার নিয়েও আলোচনা করছে সিবিআই। আয়কর কর্তারা বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন।