প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্য ছিল হুগলি শিল্পাঞ্চলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। তাই বছর দুয়েক আগে দিল্লি রোডের খোলনলচে বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত রাস্তাটিকে চার লেনে পরিণত করার কাজ শুরুও হয়। কিন্তু সেই কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়েই এখন ধোঁয়াশা। কারণ, উধাও হয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থা।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি হুগলির শিল্পাঞ্চলে দিল্লি রোডের গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময় জাতীয় সড়ক হিসেবেই রাস্তাটি গণ্য হতো। কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকারের আমলে জাতীয় সড়কের তকমা হারায় রাস্তাটি। বর্তমানে রাস্তাটি রয়েছে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশনের অধীনে। প্রশাসন সূত্রের খবর, দু’টি ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে দু’ভাগে রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছিল। এর মধ্যে বৈদ্যবাটি থেকে মগরা পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ করে ফেলেছে একটি সংস্থা। সমস্যা দেখা দিয়েছে ডানকুনি থেকে ভদ্রেশ্বর— ১১ কিলোমিটার অংশে। এখানে রাস্তা সম্প্রসারণের বরাত পেয়েছিল মুম্বইয়ের একটি ঠিকাদার সংস্থা। মাস ছয়েক ধরে এই সংস্থাটিই বেপাত্তা!
সম্প্রতি তারকেশ্বরে হুগলি জেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকেও প্রশ্নটি তোলেন ডানকুনির ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। উত্তরে পূর্ত দফতরের বিভাগীয় সচিব ইন্দিবর পাণ্ডে জানান, ওই কাজে ঠিকাদার নিয়ে সমস্যা বাস্তব। দ্রুত নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করতে রাজ্য সরকার সচেষ্ট।
সূত্রের খবর, সংস্থাটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধের যে শর্তে কাজ শুরু করে তা রক্ষা করেনি। শেষ পর্যন্ত আদালত ওই সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়। এর পরেই মালপত্র ফেলে রেখে সংস্থাটি বেপাত্তা হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি মেনে সম্প্রসারণের সময় ডানকুনিতে একটি উড়ালপুল এবং কয়েকটি আন্ডারপাস হওয়ার কথা। বন্ধ সেই কাজও।
এ বছরই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুধু দিল্লি রোডই নয়, শ্রীরামপুরে ইএসআই হাসপাতাল লাগোয়া চার বিঘা জমিতে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড তৈরিরও বরাত পেয়েছিল ওই সংস্থা। বন্ধ তা-ও। এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংস্থাটি লিকুইডেশনে চলে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। ফের বাসস্ট্যান্ড তৈরির কথা চলছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’