সাফারির প্রচারের দাবি বক্সায়

প্রায় বছর খানেক আগে চালু হয়েছে সাফারি। কিন্তু সরকারি ভাবে প্রচার না থাকায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে জমছে না পর্যটকদের ভিড়। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, জলদাপাড়া, গরুমারা জঙ্গলে সাফারির জন্য পর্যটকদের ভিড় জমলেও বক্সায় গাড়ি করে সাফারির বিষয়টি জানতেই পারছেন না অধিকাংশ পর্যটক। ফলে আক্ষেপ করছেন স্থানীয় গাড়ির মালিকেরা।

Advertisement

নারায়ণ দে

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

বক্সার জঙ্গলে পর্যটকদের সাফারি।—নিজস্ব চিত্র।

প্রায় বছর খানেক আগে চালু হয়েছে সাফারি। কিন্তু সরকারি ভাবে প্রচার না থাকায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে জমছে না পর্যটকদের ভিড়। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, জলদাপাড়া, গরুমারা জঙ্গলে সাফারির জন্য পর্যটকদের ভিড় জমলেও বক্সায় গাড়ি করে সাফারির বিষয়টি জানতেই পারছেন না অধিকাংশ পর্যটক। ফলে আক্ষেপ করছেন স্থানীয় গাড়ির মালিকেরা। এলাকার বাসিন্দা নিতু ভট্টাচার্য বছর খানেক আগে পর্যটকদের ঘোরানোর জন্য একটি জিপসি গাড়ি কিনেছেন। নিয়ম মেনে তাতে বাণিজ্যিক নম্বরও করিয়েছেন। নিতুবাবুর মতোই এলাকার ট্যুরিস্ট গাইডদেরও দাবি, বন দফতরের তরফে কার সাফারির বুকিংয়ের ব্যবস্থা করলে বিষয়টি বেশি সংখ্যক পর্যটক জানতে পারবেন।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাট ও চিলাপাতা রেঞ্জ অফিস থেকেও পর্যটকদের জন্য সাফরির গাড়ি বুকিং হয়। বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পে এখনও সেই ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে গাড়ির মালিক বা গাইডদেরই পর্যটক খুঁজতে হয় সাফারির জন্য। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “প্রায় এক বছর হল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে কার সাফারি চালু হয়েছে। গাড়ির মালিকদের বাণিজ্যিক নম্বর করার জন্য বন দফতর ও জেলা প্রশাসন সাহায্য করছে। বন দফতরের তরফে যাতে কার সাফারির বুকিং করা হয় সেটা দেখা হচ্ছে। রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে কার সাফারির বোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করার জন্য আধিকারিকদের জানাব।”

রাজাভাত খাওয়ার পর্যটন ব্যবসায়ী নিতু ভট্টাচার্য বলেন, “রাজাভাতখাওয়ায় ৪টি ও জয়ন্তীতে ১০টি জিপসি গাড়ি রয়েছে। তবে সাফারির বুকিংয়ের জন্য সরকারি ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেই। সে জন্য সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন হোমস্টে, লজে থাকা পর্যটকেরাই শুধুমাত্র কার সাফারির বিষয়ে জানতে পারছেন। রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে কার সাফারি বিষয় বোর্ড টাঙানো হলে তা নজরে আসবে অধিকংশ পর্যটকের।” এলাকার ট্যুরিস্ট গাইট আশিষ ঘোষ জানান, অন্যান্য জঙ্গলগুলিতে কার সাফারির জন্য পর্যটকদের লাইন পড়ে। কিন্তু বক্সায় প্রচার না থাকায় নিজেদেরই পর্যটক খুঁজে বের করতে হচ্ছে।”

Advertisement

কলকাতার বেহালা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আশিষকুমার বণিক বলেন, “বহু বছর আগে বক্সায় এসেছিলাম। এখানে এসে গাড়ির মালিকদের কাছে জানতে পারলাম এখানে কার সাফারি হয়।” আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউল মিনাজ পরিবার নিয়ে রবিবার জয়ন্তী ঘুরতে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় জিপসি গাড়ি দেখে খোঁজ নিয়ে যানতে পারেন কার সাফারির কথা। রেজাউল বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারে থাকি। কিন্তু বক্সা জঙ্গলে কার সাফারি শুরু হয়েছে জানতাম না। বিষয়টি নিয়ে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন