দলীয় কাউন্সিলরকে অপমান করার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ সিপিএমের। —নিজস্ব চিত্র।
সাম্প্রতিক অতীতে বারবারই বিরোধী দলগুলির নিশানায় তিনি-ই। রামপুরহাটের সেই বিতর্কিত আইসি আবু সেলিমের বিরুদ্ধে এ বার বিরোধী কাউন্সিলরকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ঘটনার প্রতিবাদে আরও এক বার আইসি আবু সেলিমকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলল সিপিএম। এই মর্মে জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের কাছে অভিযোগ করেছেন ‘নিগৃহীত’ রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক। ওই ঘটনায় এসডিপিও-র (রামপুরহাট) কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি দলের তরফে রামপুরহাট থানায় বিক্ষোভও দেখানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ওয়ার্ডের এক আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন সঞ্জীববাবু। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। তাঁর দাবি, ‘‘কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিচ্ছিলাম। তখনই আইসি থানায় আসেন। তিনি আমাকে দেখেই বলে উঠেন, ‘আপনি এখানে কেন?’। জনপ্রতিনিধি হয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দার অভিযোগ জানাতে এসেছি বলে ওঁকে জানাই। জবাব শুনে আইসি অপমান করে আমাকে জানান, আমার এখানে কোনও কাজ নেই। তার পরে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন।’’ থানা থেকে বেরিয়েই অপমানিত সঞ্জীববাবু এসপি-কে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। পরে এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ করেন।
আইসি অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। এ দিন প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত আবু সেলিম বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই। যা পারেন, লিখে দিন।’’ পরে অবশ্য তিনি দাবি করেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এর বেশি কিছু আমি বলব না।’’ পাশাপাশি ওই মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ যদিও বলছেন, ‘‘ওই পুলিশ অফিসারের ব্যবহার সাধারণ মানুষের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠছে। উনি শাসকদলের তাবেদারি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে থানায় বসে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। এক দিন না এক দিন তাঁর ওই ব্যবহারই জনবিস্ফোরণ ডেকে আনবে।’’ অভিযুক্ত আইসি-কে দ্রুত পদ থেকে সরানোর দাবি তিনি তুলেছেন। অন্য দিকে, এসডিপিও (রামপুরহাট) জোবি থমাস কে জানিয়েছেন, সঠিক কী ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।