Dengue

বৃষ্টিজলে বিপদ ডেঙ্গির

বৃষ্টির সময়ে মশারা চলে আসে বাড়ির ভিতরে। অন্ধকার জায়গা খুঁজে নিয়ে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে হুল ফুটিয়ে চলে যায়। বৃষ্টি থেমে গেলে বিপদটা আবার বাড়ির বাইরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বৃষ্টি হতে থাকলে বিপদ। আরও বেশি বিপদ বৃষ্টি থামলে। বিশেষত এই ডেঙ্গি-জ্বরের পরিস্থিতিতে।

Advertisement

বৃষ্টির সময়ে মশারা চলে আসে বাড়ির ভিতরে। অন্ধকার জায়গা খুঁজে নিয়ে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে হুল ফুটিয়ে চলে যায়। বৃষ্টি থেমে গেলে বিপদটা আবার বাড়ির বাইরে। ইতিউতি জমে থাকা বৃষ্টির পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এডিস ইজিপ্টাই, অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। রাজ্য জুড়ে যখন ডেঙ্গি-অজানা জ্বরের মারণ-প্রকোপ, তখন এই অসময়ের বৃষ্টি তাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

পতঙ্গবিদেরা বলছেন, বৃষ্টি পুরোপুরি কমে শীত না পড়া পর্যন্ত (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে) ডেঙ্গি-দুর্ভোগ কমবে না। ভাল শীত পড়লে মশার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে তারা।

Advertisement

আলিপুর হাওয়া অফিস আপাতত শীতের কথা ভাবছেই না। তাদের মূল চিন্তা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের নিম্নচাপ। বুধবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ওই নিম্নচাপটির শক্তি আর বাড়বে না। সেটি ওড়িশার দিকে কিছুটা সরে এসে দুর্বল হয়ে পড়বে। পরে আরও দুর্বল হতে হতে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোবে।

নিম্নচাপের জেরে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার উপকূলবর্তী জেলাগুলির কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারের পর আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে।

সতর্ক থাকুন

• বৃষ্টি চলতে থাকলে মশা তাড়াতে অনুমোদিত কীটনাশক ছড়ান

• পাখা চালিয়ে রাখুন, মশারা বসার জায়গা খুঁজে পাবে না

• যে সব জায়গায় আলো কম পৌঁছয়, সেখানে বেশি কীটনাশক দিন

• বাড়ির আশপাশে গর্ত থাকলে বন্ধ করে দিন, জল জমতে দেবেন না

• নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি হয়ে থাকলে বুজিয়ে দিন বা কীটনাশক ছড়ান

• সম্ভব হলে নির্মাণকাজ শীতে করুন, তখন মশা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়

• বৃষ্টি থামার পরে পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমে আছে কি না দেখুন

• এলাকায় জঞ্জাল বা জল জমলে কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত সদস্যকে জানান

চিকিৎসকদের অনেকের আশা, বৃষ্টি কমে যদি ঝলমলে রোদ ওঠে আর উত্তর ভারত থেকে হিমেল হাওয়া ঢোকে, তবে হয়তো শীত শীত ভাব আসবে। কারণ কাশ্মীরে বরফ পড়তে শুরু করেছে। আবহবিদেরা অবশ্য তোমন সুখবর দিচ্ছেন না। কারণ নিম্নচাপটি পরিমণ্ডলে কতটা মেঘ ঢুকিয়ে যাবে তার উপরেই নির্ভর করছে আকাশ ঝলমলে হবে কি না। তার পরেও শীত পড়ার সম্ভাবনা কম। এক আবহবিদের কথায়, ‘‘তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement