Dengue

রাজ্যে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ায়, বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গির কারণে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। দফায় দফায় পর্যালোচনা চালাচ্ছে নবান্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৯
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি যখন উদ্বেগজনক, তখন সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিবেশন কক্ষে ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ার কারণেই সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত কাজ করতে পারছে না।’’ এই প্রসঙ্গেই দ্রুত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

পাশাপাশি বিধাননগরের মতো ঝকঝকে শহুরে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপের কারণ সম্পর্কেও ধারণা দিতে চেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিধাননগরের মেট্রোর কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তাই সেখানে জল জমে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে।’’ পুরসভাগুলিকেও মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গির কারণে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। নবান্ন ও সামগ্রিক ভাবে প্রশাসন ডেঙ্গি ঠেকাতে দফায় দফায় পর্যালোচনা চালাচ্ছে বলেও অধিবেশনে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিজেপি এই ইস্যুতে বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে নতুন করে ডেঙ্গি প্রসঙ্গ তোলেন। সেই সময়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি যখন অধিবেশনে ছিলেন না তখন মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন।’’ এরপরেই অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি পরিষদীয় দল।

Advertisement

মূলত যাঁদের প্লেটলেট অতিরিক্ত কমে যাচ্ছে, তাঁদেরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। তবে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ব্যাপক। পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন, গত ২৬ জুলাই রাজ্যে চার হাজার ৪০১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। জেলাগত ভাবে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন মমতা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেন, ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য বহু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে একটি আইডি হাসপাতাল গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার।

তবে রাজনৈতিক ভাবে মমতা সোমবাপ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে বোর্ড গঠন সেরে ফেলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন