বর্ষা আনতে ভরসা এখন ঘূর্ণাবর্তই

কেরলে বর্ষা ঢুকেছে ৩০ মে, নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে। কিন্তু সেই থেকে ৬ জুন পর্যন্ত বর্ষা এক্সপ্রেস কেরলেই আটকে ছিল। ৭ জুন সেখান থেকে বর্ষা রওনা দিলেও আরবসাগরের জোরালো নিম্নচাপটি তাকে পশ্চিম ভারতে টেনে নিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০৩:৩৭
Share:

আরবসাগরের নিম্নচাপ পশ্চিম ভারতে টেনে নিয়ে গিয়েছে বর্ষাকে। বাংলার দিকে তাকে টেনে আনতে ভরসা এখন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের ঘূর্ণাবর্ত। আবহবিদদের মতে, নিম্নচাপটি শক্তি খোয়াচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের টানেই বর্ষা ফের পূর্ব ভারতের দিকে মুখ ঘোরাতে পারে।

Advertisement

নির্ঘণ্ট মানলে বৃহস্পতিবারই ছিল দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার দিন। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালে সে বহু দূরে বন্দি। কেরলে বর্ষা ঢুকেছে ৩০ মে, নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে। কিন্তু সেই থেকে ৬ জুন পর্যন্ত বর্ষা এক্সপ্রেস কেরলেই আটকে ছিল। ৭ জুন সেখান থেকে বর্ষা রওনা দিলেও আরবসাগরের জোরালো নিম্নচাপটি তাকে পশ্চিম ভারতে টেনে নিয়ে যায়।

মৌসম ভবন সূত্রের খবর, বর্ষা এ দিন গোয়া, কর্নাটকে ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে ঢুকবে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, অসম পেরিয়ে বর্ষা কার্যত উত্তরবঙ্গের দোরগোড়ায় আটকে রয়েছে। ‘‘উত্তরে বর্ষা ঢোকার পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমনের বিযাপারটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে,’’ বলছেন কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভরসা দুপুর-বিকেলের দু’-এক পশলা ব়ৃষ্টি। কয়েক দিন ধরে দুপুর গ়ড়ানোর পরেই আকাশ কালো করে মেঘ জমছে। এক পশলা বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। তাতে ক্ষণ-স্বস্তি মিললেও দহনের স্থায়ী উপশম হচ্ছে না। হাওয়া অফিসের খাতায় এটা প্রাক্‌বর্ষার ব়ৃষ্টি। সঞ্জীববাবু জানান, মৌসুমি বায়ু ধীরে হলেও বইতে শুরু করেছে। এটা বর্ষা সমাগমের অন্যতম লক্ষণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement