সন্তান-সহ এক বধূকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম পাপাই মণ্ডল। বসিরহাট থনার আইসি প্রসেনজিত দাস বলেন, “ইটিন্ডার বাসিন্দা শ্যামলী মণ্ডল ও তাঁর আড়াই বছরের সন্তান বনশ্রীকে অপহরণের অভিযোগে বুধবার পাপাই মণ্ডলক গ্রেফতার করা হয়। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে তাদের অপহরণ করা হচ্ছিল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১০ মার্চ নাকুয়াদহ গ্রামে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। বাড়ি ফিরে জানতে পারেন স্ত্রী শ্যমলীদেবী ও মেয়ে বনশ্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪ মার্চ তাঁকে ফোন করে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী কথা না শুনলে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। বিশ্বজিৎবাবু পুলিশকে জানান, ইতিমধ্যে এক সূত্রে তিনি পাপাইয়ের কথা জানতে পেরে তিনি তার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে পাপাই অপহরণ করেছে বললে পাপাইয়ের বাবা-মা তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। পুলিশকে সে কথা জানালে তারা ফাঁদ পাতে। পুলিশ জানাতে পারে পাপাই ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানকে কলকাতার গড়িয়ায় তার এক বন্ধুর বাড়িতে রেখেছে। সুযোগ বুঝে তাদের পাচার করা হবে। এরপর পুলিশ বারাসত স্টেশন থেকে পাপাইকে গ্রেফতার করে এবং অপহৃতদের উদ্ধার করে। তবে পাপাইয়ের দাবি, সে শ্যামলীদেবীকে ভালবাসে। কিন্তু তাঁর সন্তানকে সে চায় না। সন্তানকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে আসার পথেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
যদিও শ্যামলীদেবী পাপাইয়ের দাবিকে অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “বাড়ির এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় পাপাইকে দাদা বলে ডাকতাম। ঘটনার দিন পাপাই শ্বশুরবাড়ির সামনে এসে আমাকে ডাকে। কেন ডাকছে জানতে মেয়েকে কোলে নিয়ে আসতেই জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালায়।”
ভস্মীভূত পানবরজ। বিদ্যুতের তার থেকে আগুন ছিটকে পড়ায় ভস্মীভূত হল প্রায় চারবিঘা জমির পানবরজ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে দেগঙ্গা ৩ নম্বর পঞ্চায়েতের আমিনপুর কলোনিতে। জমির উপর দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ তার থেকেই আগুন লাগার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি জানিয়ে বেড়াচাঁপায় বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দফতরের স্টেশন সুপার বিপ্লব পরামাণিক কৃষি দফতর এবং বিডিওকে ঘটনাটি জানানো এবং তদন্তের পরে ক্ষিতপূরমের বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলে জনতা শান্ত হয়।