আগাছায় ঢেকেছে নালা, মশায় নাজেহাল চুঁচুড়া

বেশ কিছু দিন ধরেই মশা এবং পোকা-মাকড়ের উৎপাতে নাজেহাল চুঁচুড়া শহরের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। নিকাশি-নালাগুলির দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলেই এই অবস্থা বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। তাঁরা এ জন্য পুরসভার বিরুদ্ধেই উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন।

Advertisement

তাপস ঘোষ

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০৪:০৫
Share:

নালা বলে বোঝাই দুঃসাধ্য।--নিজস্ব চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরেই মশা এবং পোকা-মাকড়ের উৎপাতে নাজেহাল চুঁচুড়া শহরের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। নিকাশি-নালাগুলির দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলেই এই অবস্থা বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। তাঁরা এ জন্য পুরসভার বিরুদ্ধেই উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন।

Advertisement

বস্তুত, শহরের প্রতাপগড়, নিউ প্রতাপগড়, অরবিন্দ পল্লি, আনন্দ মার্গ, তালডাঙা প্রভৃতি এলাকায় গেলেই দেখা যাবে নালাগুলি আগাছায় ভরে গিয়েছে। মশার পাশাপাশি পোকা-মাকড় এবং সাপের উপদ্রবও বাড়ছে বলে জানান বাসিন্দারা। ওই সব এলাকার বেশ কয়েকটি নালা এখনও পাকা হয়নি। ফলে, নোংরা জল উপচে মাঝেমধ্যেই রাস্তাতেও চলে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরকর্মীরা মাঝেমধ্যে এসে নালা সাফ করেন ঠিকই, কিন্তু তার পরে দীর্ঘদিন তাঁদের দেখা মেলে না। ফলে, নালা ফের আগাছায় ভরে যায়।

আনন্দমঠ এলাকার বাসিন্দা তন্ময় দাস বলেন, “আমাদের বাড়ির পিছনের নালাটিই দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেক বার পুরসভায় দরবার করার পরে এক বার পরিষ্কার করা হয়। তার পরে কয়েক মাস আর সাফাই-কর্মীদের দেখা মেলে না। নালা আবর্জনায় ভরে যায়। মশা-মাছি বাড়ে।” সত্যপিরতলার বাসিন্দা তাপস দাস বলেন, “নালাগুলি নিয়মিত সংস্কার না হওয়ার ফলে নোংরা জল অনেক সময়েই আটকে থাকে। ফলে, মশা, পোকা-মাকড়ও বাড়ে। নালা নিয়মিত পরিষ্কার হলে এই সমস্যা হয় না।”

Advertisement

পুরসভার কর্তারা অবশ্য নিয়মিত নালা সংস্কার না হওয়ার অভিযোগ মানেননি। তবে, বুনো কালীতলা থেকে যে নালাটি সত্যপিরতলা, অরবিন্দ পল্লি, প্রতাপগড়, নিউ প্রতাপগড় হয়ে জি টি রোডের নালায় মিশেছে, তার উপরে বেশ কয়েকটি গ্যারাজ থাকায় ময়লা নিয়মিত সাফ করা যায় না বলে মেনে নিয়েছেন তাঁরা।

পুরপ্রধান তৃণমূলের গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরকর্মীরা এক-একটি পাড়ায় নালা পরিষ্কার করেন। কিছু নালায় আগাছা জন্মে গেলে পরিষ্কারও করা হয়। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন