আরামবাগে সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ, পাল্টা প্রহৃত তৃণমূল নেতা

নিজের বাড়ি এবং দোকানে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত স্টিকার-পোস্টার সাঁটছিলেন এক সিপিএম নেতা। সে সময়ে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তা দেখে এলাকার লোকজন পাল্টা পেটালেন ওই তৃণমূল নেতাকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বড়ডোঙ্গল হাটতলায়। সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষই থানায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৃথক ভাবে তদন্তে যায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৪ ০০:০৬
Share:

নিজের বাড়ি এবং দোকানে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত স্টিকার-পোস্টার সাঁটছিলেন এক সিপিএম নেতা। সে সময়ে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তা দেখে এলাকার লোকজন পাল্টা পেটালেন ওই তৃণমূল নেতাকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বড়ডোঙ্গল হাটতলায়। সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষই থানায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৃথক ভাবে তদন্তে যায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বড়ডোঙ্গলের বাসিন্দা তথা সিপিএমের আরামবাগ ৩ নম্বর লোকাল কমিটির সদস্য তপন রায় নিজের ইমারতি দ্রব্যের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময়ে স্থানীয় বেড়াবেড়ে গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা সালেপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জিৎ ওরফে বাচ্চু অধিকারী দলীয় এক কর্মী কার্তিক দিগপতির মোটর বাইকের পিছনে বসে সেখান পৌঁছন। বড়ডোঙ্গলে হাটবার হওয়ায় সে সময়ে বহু লোকজনও ছিল সেখানে।

হাটের ব্যবসায়ী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিপিএম নেতার সঙ্গে পোস্টার-স্টিকার লাগানোকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে তৃণমূল নেতার। অভিযোগ, হঠাৎই তপনবাবুকে মারধর শুরু করেন ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গী। তপনবাবুর জামা ছিঁড়ে যায়। চশমা ভেঙে যায়। গোলমাল থামানোর চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় মানুষ। তাতে কাজ না হওয়ায় তৃণমূলের ওই নেতাকে চড়-থাপ্পড় মারেন তাঁরা।

Advertisement

তপনবাবু বলেন, “নিজের বাড়ি এবং দোকানে নির্বাচনী পোস্টার মেরেছি। কেন তা করেছি, সেই প্রশ্ন তুলে গালাগালি দিচ্ছিল সঞ্জিৎ ও তার সঙ্গী। ওরা হুমকি দেয়, সিপিএমের কোনও নাম-গন্ধ রাখা যাবে না গ্রামে। আমাকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর শুরু করে ওরা। হাটে আসা লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ওদের হঠিয়ে দেয়।” অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা সঞ্জিতের অভিযোগ, “বড়ডোঙ্গল হাটতলায় ভিড়ের মধ্যে আমাদের মোটর বাইক থামিয়ে তপন এবং তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।”

ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগের বিধায়ক তৃণমূলের কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “সিপিএম এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। বিনা প্ররোচনায় আমাদের ছেলেদের মারা হয়েছে বড়ডোঙ্গল গ্রামে।” অন্য দিকে, সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির নেতা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে তৃণমূল আতঙ্কিত। কোথাও সিপিএমের পোস্টার-ফেস্টুন দেখলেই হামলা করছে আমাদের লোকদের উপরে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন