কঠিন রোগ সামলিয়েও মাধ্যমিকে সাফল্য নুরের

জেদ আর অধ্যবসায়ের ভরসাতেই কঠিন রোগ সামলিয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য পেল নুর আলম শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির রাজারামপুরের এই কিশোর এ বার পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে লেটার-সহ ৫৬২ নম্বর পেয়েছে। তার থেকে ভাল নম্বর হয় তো পেয়েছে অনেকেই, কিন্তু যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লড়তে হয়েছে তাকে, সে এক অন্য কাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উস্তি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০১:৩৪
Share:

জেদ আর অধ্যবসায়ের ভরসাতেই কঠিন রোগ সামলিয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য পেল নুর আলম শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির রাজারামপুরের এই কিশোর এ বার পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে লেটার-সহ ৫৬২ নম্বর পেয়েছে। তার থেকে ভাল নম্বর হয় তো পেয়েছে অনেকেই, কিন্তু যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লড়তে হয়েছে তাকে, সে এক অন্য কাহিনী।

Advertisement

গত আট বছর ধরে এপিলেপসিতে আক্রান্ত ছেলেটি। আট বছর বয়স থেকে এই রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। চিকিৎসর জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানে বছর চারেক চিকিৎসা হয়। পরে ত্রিবান্দ্রমে তাকে নিয়ে যান বাবা-মা। গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার করার পরে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে ফলতার শ্রীনাথ ইন্সটিটিউশনে ভর্তি হয় সে। তাকে কোনও অবস্থাতেই একা ছাড়া যাবে না, চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশ ছিল এটাই। তাই বাড়ি থেকে স্কুলে আনা-নেওয়ার কাজটা সামলান মা মাজিদা বিবি। তিন ছেলে-স্বামীকে নিয়ে সংসার সামলেও মেজো ছেলে নুরের জন্য তাঁকে অনেকটা বাড়তি সময় দিতে হয়েছে।

নুরের বাবা বদরোদোজার শেখের নানা জিনিস মেরামতির ব্যবসা ছিল। কিন্তু ছেলের রোগের মোকাবিলা করতে করতে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত তিনি। দিনমজুরি করে সংসার চালান। ছেলে বড় হয়ে ডাক্তারি পড়তে চায়। কিন্তু অভাবের সংসারে সে খরচ সামলাবেন কী করে, তা ভেবে ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের।

Advertisement

নুর বলেন, “বেশি ক্ষণ এক টানা পড়াশোনা করতে পারি না। হাঁপিয়ে উঠি। চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। ডাক্তাররা বার বারর বলেছেন, মাথায় বেশি চাপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু শিক্ষকেরা বলেছিলেন, কঠোর অধ্যবসায় সাফল্য আনে। সেই মতো চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।” স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব সময়ে তার পাশে থেকেছে, জানায় নুর।

চোখের কোণে ছলকে ওঠা জল মুছে নিয়ে নুরের বাবা-মা বলেন, “ছেলেটাকে কী ভাবে বড় করবো জানি না। আমাদের মতো এমন অবস্থা যেন কারও না হয়।”

জেদ আর অধ্যবসায়ের ভরসাতেই কঠিন রোগ সামলিয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য পেল নুর আলম শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির রাজারামপুরের এই কিশোর এ বার পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে লেটার-সহ ৫৬২ নম্বর পেয়েছে। তার থেকে ভাল নম্বর হয় তো পেয়েছে অনেকেই, কিন্তু যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লড়তে হয়েছে তাকে, সে এক অন্য কাহিনী।

গত আট বছর ধরে এপিলেপসিতে আক্রান্ত ছেলেটি। আট বছর বয়স থেকে এই রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। চিকিৎসর জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানে বছর চারেক চিকিৎসা হয়। পরে ত্রিবান্দ্রমে তাকে নিয়ে যান বাবা-মা। গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার করার পরে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে ফলতার শ্রীনাথ ইন্সটিটিউশনে ভর্তি হয় সে। তাকে কোনও অবস্থাতেই একা ছাড়া যাবে না, চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশ ছিল এটাই। তাই বাড়ি থেকে স্কুলে আনা-নেওয়ার কাজটা সামলান মা মাজিদা বিবি। তিন ছেলে-স্বামীকে নিয়ে সংসার সামলেও মেজো ছেলে নুরের জন্য তাঁকে অনেকটা বাড়তি সময় দিতে হয়েছে।

নুরের বাবা বদরোদোজার শেখের নানা জিনিস মেরামতির ব্যবসা ছিল। কিন্তু ছেলের রোগের মোকাবিলা করতে করতে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত তিনি। দিনমজুরি করে সংসার চালান। ছেলে বড় হয়ে ডাক্তারি পড়তে চায়। কিন্তু অভাবের সংসারে সে খরচ সামলাবেন কী করে, তা ভেবে ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের।

নুর বলেন, “বেশি ক্ষণ এক টানা পড়াশোনা করতে পারি না। হাঁপিয়ে উঠি। চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। ডাক্তাররা বার বারর বলেছেন, মাথায় বেশি চাপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু শিক্ষকেরা বলেছিলেন, কঠোর অধ্যবসায় সাফল্য আনে। সেই মতো চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।” স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব সময়ে তার পাশে থেকেছে, জানায় নুর।

চোখের কোণে ছলকে ওঠা জল মুছে নিয়ে নুরের বাবা-মা বলেন, “ছেলেটাকে কী ভাবে বড় করবো জানি না। আমাদের মতো এমন অবস্থা যেন কারও না হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন