কপিলের সমর্থনে মিছিলে মঞ্জুল

দু’জনের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবার প্রথম দাদা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের হয়ে প্রকাশ্যে ভোটের প্রচারে নামলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। এর আগে দলীয় কর্মিসভায় পাশাপাশি বসা বা নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় দু’জনের একত্র উপস্থিতি থাকলেও রাস্তায় নেমে এক সঙ্গে প্রচার এই প্রথম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৯
Share:

বনগাঁয় কপিলকে নিয়ে প্রচারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মঞ্জুল।—নিজস্ব চিত্র।

দু’জনের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবার প্রথম দাদা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের হয়ে প্রকাশ্যে ভোটের প্রচারে নামলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। এর আগে দলীয় কর্মিসভায় পাশাপাশি বসা বা নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় দু’জনের একত্র উপস্থিতি থাকলেও রাস্তায় নেমে এক সঙ্গে প্রচার এই প্রথম।

Advertisement

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি কপিলকৃষ্ণের সমর্থনে এ দিন বিকেলে স্থানীয় প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ থেকে মিছিল বের করে তৃণমূল। কয়েক হাজার লোকের জমায়েত হয়। হুড খোলা জিপে আশপাশের মানুষের কাছ থেকে ভোট চান দু’ভাই। পাশেই ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিত্‌ দাস, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোত্‌স্না আঢ্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল। বিশ্বজিত্‌বাবু বলেন, “কিছু মানুষ দু’ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছিলেন। আজ প্রমাণ হল, যা রটনা হচ্ছিল, সব মিথ্যা।”

দু’ভাইকে এক সঙ্গে দেখে স্বস্তিতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও। নির্বাচনে এ বার প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে সম্প্রতি দু’ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। মঞ্জুলবাবু চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে সুব্রতকে প্রার্থী করা হোক। এমনকী তিনি মন্তব্যও করেন, “দাদা তৃণমূল করেননি। সিপিএমের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ। ওঁকে প্রার্থী করলে তৃণমূলের ক্ষতি হবে।”

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, গত ১১ মার্চ বনগাঁ শহরে দলের একটি কর্মিসভায় জ্যোতিপ্রিয়বাবুর উপস্থিতিতে বরফ গলতে শুরু করে। আর, ৬ এপ্রিল, রবিবার খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সে দিন দু’ভাইকে কথা বলিয়ে দিয়েছিলাম। আজ তো ওঁরা এক সঙ্গে মিছিলও করলেন। দু’জনেই বলেছেন, কোনও বিরোধ নেই তাঁদের মধ্যে। নিন্দুকেরা ১২ মে, ভোটের দিন জবাব পাবেন।”

কী বলছেন রাজ্যের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ? মিছিল শেষ করে তাঁর উত্তর, “দল যখন দাদাকে প্রার্থী করেছে, তাঁকে জেতাতেই হবে। যা সাড়া পেলাম আজ, তাতে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

ভাইয়ের প্রশংসা দাদার মুখেও। কপিলকৃষ্ণ বললেন, “মন্ত্রী হিসেবে মঞ্জুলের অনেক কাজ আমাকে ভোটে জিততে সাহায্য করবে। এক সঙ্গে প্রচার করে ভালই লাগছে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।”

এ দিনের মিছিলে ডঙ্কা নিয়ে হেঁটেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশও। বনগাঁ শহর তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর আঢ্য বলেন, “কর্মীদের আবেগই বলে দিচ্ছে জয় নিশ্চিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন