জরিমানা দিতে না পারায় বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বাড়ির শিশুর দুধে কাপড় কাচার রাসায়নিক ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি আমডাঙার তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়ার। যার সূত্রপাত গত ৩ মে। ওই দিন পাড়ার কলে জল আনতে গিয়েছিলেন সিরাজুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, সে সময়ে একটি আট বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমডাঙা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০১:২৯
Share:

শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বাড়ির শিশুর দুধে কাপড় কাচার রাসায়নিক ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

ঘটনাটি আমডাঙার তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়ার। যার সূত্রপাত গত ৩ মে। ওই দিন পাড়ার কলে জল আনতে গিয়েছিলেন সিরাজুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, সে সময়ে একটি আট বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেন তিনি।

পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা দেওয়ার জন্য সিরাজুলকে পঁচিশ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সিরাজুলের অভিযোগ, তেঁতুলিয়া প্রাথমিক স্কুল চত্বরে ওই সালিশি সভা বসেছিল স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের নবীন পাত্রের উপস্থিতিতে।

Advertisement

সিরাজুল টাকা দিতে পারেননি। টাকা দেওয়ার মেয়াদও ফুরোয় গত গত মাসের শেষের দিকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই নানা ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। এর মাঝে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমানের কাছেও একাধিক বার দরবার করেছিলেন বলে জানান সিরাজুল। তাঁর দাবি, বিধায়ক আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, কোনও গণ্ডগোল হবে না। কিন্তু তারপরেও হামলা চলে সিরাজুলের বাড়িতে।

১ জুন আমডাঙা থানায় দায়ের করা অভিযোগে সিরাজুল জানিয়েছেন, গত ৩০ মে তাঁর বাড়িতে নবীন পাত্রের দলবল এসে ভাঙচুর করে। সিরাজুলের ছোট সন্তান সে সময়ে দুধ খাচ্ছিল। সেই বাটিতে রাসায়নিক ঢেলে দেয় হামলাকারীরা।

নবীন-সহ ১৮ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সিরাজুল। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার। সিরাজুল বলেন, “জল আনতে গিয়ে কলতলায় আমার পা পিছলে যায়। ছোট মেয়েটি সামনে দাঁড়িয়েছিল। আমি ওর হাত ধরে ফেলে নিজেকে সামাল দিই। এই ঘটনাকেই ওরা শ্লীলতাহানি বলে চালাতে চাইছে।”

সালিশিতে হাজির থাকার কথা অস্বীকার করেননি নবীনবাবু। যদিও তাঁর দাবি, জরিমানা করা হয়নি। সিরাজুলের বাড়িতে হামলার ঘটনাতেও তিনি বা তাঁর দলের কেউ যুক্ত নন। নবীন বলেন, “ভেবেছিলাম গ্রামের সামান্য গোলমাল আলোচনায় করে মিটিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু বিষয়টি এত দূর গড়াবে ভাবতে পারিনি।” রফিকার বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ছোট ঘটনাটি নিচুস্তরেই মিটিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক জনের অদূরদর্শীতার জন্য এত বাড়াবাড়ি হল।” বিষয়টি খতিয়ে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন