বাঁ দিকে পুকুর মিশে গিয়েছে জল-পথে। ছবি: শান্তনু ঘোষ
এ বার আর গোটা হাওড়া নয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভাসল শুধু মাত্র বালি।
সোমবার রাতের এক-দেড় ঘণ্টার অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ল বালি পুর-এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনকী, মঙ্গলবারও ওই এলাকা থেকে এতটুকুও জল নামল না। তবে এই ঘটনার জন্য বালির নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন বাসিন্দারা। কয়েক দিন আগেও অল্প বৃষ্টিতে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ত। কিন্তু বর্ষার আগে নিকাশির বেশ কিছু কাজ করার ফলে এ বার আর সেই সমস্যা হবে না বলে জানান হাওড়া পুরসভার আধিকারিকেরা।
কিন্তু তেমন কোনও দাবি কিংবা আশ্বাস কিছুই দিতে পারেনি বালি। আর তাই অল্প বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন হওয়ার পরে বালির পুর-কর্তৃপক্ষ ‘ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,’ বলেই দায় সেরেছেন। পাশাপাশি, এই চরম দুরবস্থার জন্য কেএমডিএ-কেও দায়ী করেছেন তাঁরা। পুর-চেয়ারম্যান সিপিএমের অরুণাভ লাহিড়ী বলেন, “নিকাশি নালা সাফাইয়ের পরে ফের কেএমডিএ-র কাজের জন্য বুজে গিয়েছে। ওঁরা পাইপলাইন বসাতে রাস্তা খুঁড়েছে। তাতেই মাটি ও বালি নর্দমায় পড়ে সমস্যা বেড়েছে।”
অভিযোগ মানতে নারাজ কেএমডিএ। বরাহনগর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মন্টু সর্দার বলেন, “আমাদের কাজে কিছুটা সমস্যা যে হয়নি, এমন বলব না। কিন্তু আগে থেকেই বালির নর্দমাগুলি বুজে ছিল। বারবার বলেও সাফাই হয়নি।” পুরসভা ও কেএমডিএ-র এই চাপান-উতোরে অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ল ৩৫ ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ৩০টি। তবে বালির পুর-আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য নিজেদের ঘাটতির কথাও মেনে নিচ্ছেন। তাঁদের কথায়, নিকাশি ব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের। আমাদেরও এত কর্মী নেই, তাই বুজে যাওয়া নালা সংস্কার সম্ভব নয়। তার উপরে কেএমডিএ-র কাজে সমস্যা বেড়েছে।