বিজেপি কর্মীদের মারধরের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ
জখমদের দেখতে হাসপাতালে প্রার্থী কেডি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বনগাঁর চড়ুইগাছিতে। তবে কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ বিজেপির তরফে দায়ের করা হয়নি। নেতৃত্বের ধারণা, তাদের বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের লোকজনই এই ঘটনায় জড়িত। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ওই ঘটনায় আহত দুই দলীয় কর্মী প্রশান্ত মণ্ডল ও সন্দীপ মণ্ডলকে শনিবার সকালে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে দেখতে যান বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেডি বিশ্বাস। প্রশান্তবাবু ঘাটবাওর অঞ্চলের বিজেপির বুথ কমিটির সহ-সভাপতি। বনগাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে, এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে ওই দুই বিজেপি কর্মী চড়ুইগাছি গ্রামে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ফেরার পথে চড়ুইগাছি মোড়ে অন্ধকারের মধ্যে চার জন তাঁদের সাইকেল থেকে টেনে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় তাঁদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সকালে হাসপাতালে কে ডি বিশ্বাস বলেন, “কারও ক্ষোভ থাকলে আমার দলীয় কর্মীদের না মেরে আমায় মারুন। এ ভাবে মারধর করে আমার ভোট কমানো যাবে না। এতে বরং ভোট বাড়বে।” নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরো ঘটনাটি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিএলও-র হেনস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
ভোটারদের বাড়িতে স্লিপ দিতে গেলে নির্বাচন কমিশনের এক বুথ লেভেল অফিসারকে (বিএলও) হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হুগলির আরামবাগে সালেপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রভাকর কুণ্ডু নামে ওই অফিসার সালেপুর গ্রামের কোটালপাড়ায় বুথ স্লিপ দিতে গিয়েছিলেন। তিনি সিপিএমের হয়ে প্রচার করছেন দাবি করে তৃণমূল সমর্থকেরা তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার অবশ্য দাবি করেন, “এই ঘটনায় দল যুক্ত নয়। দলের সাধারণ সমর্থকেরা কেন ওই ঘটনা ঘটালেন, তা আমরা দেখছি। তবে সিপিএমের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীরা বুথ স্লিপ দিতে যাচ্ছেন বলে আমরাও জেনেছি।” বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বুথ স্লিপ দেওয়ার সময়ে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যাতে উপস্থিত থাকেন, তা দেখতে বলা হয়েছে।”
আটকে কপিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা
রাস্তায় মরা গরু পড়ে থাকায় দু’ঘণ্টা ধরে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী। শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বনগাঁ ও গাইঘাটা থানার সংযোগস্থলে স্থানীয় কালুপুর এলাকায় ওই অবরোধে আটকে পড়ল তৃণমূল প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের গাড়িও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে গরু নিয়ে যাওয়ার সময়ে গরু মরে গেলে পাচারকারীরা সড়কের উপর মরা গরু ফেলে রেখে যায়। তাই এই অবরোধ। কপিল অবশ্য গাড়ি থেকে নামেননি। গাড়ির কাচও নামাননি।
৩টি ঘর ভস্মীভূত
পুড়ে গেল তিনটি টালির চালের ঘর। শনিবার, শিবপুর এলাকার চন্দ্রকুমার লেনে। দমকল জানিয়েছে, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি বাড়িতে আগুন লাগে। বাঁশ ও টালির চাল হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়ায় পাশের দু’টি ঘরে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সরু গলির মধ্যে ঘটনাটি ঘটায় তাদের ঢুকতে সমস্যা হয়। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি বাড়ির অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের ধারণা শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লাগে।
সিপিএমের বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের নালিশ
চাঁদার বিলে সংসদের ছবি ছাপিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছে সিপিএম, শনিবার সকালে শ্রীরামপুরে নির্বাচন কমিশনের কাছে এমনই অভিযোগ জানাল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার জন্য সিপিএম যে বিল ব্যবহার করছে, তাতে সংসদের ছবি রয়েছে। এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। সিপিএমের পাল্টা বক্তব্য, তৃণমূলও পোস্টারে তাদের নেত্রী ও প্রার্থীদের ছবি ব্যবহার করে প্রচার করছে। অভিযোগ নিয়ে হুগলির জেলাশাসক মনমিত নন্দা বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত চলছে। তা শেষ না হলে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।”
সন্দেশখালিতে স্কুলে বিক্ষোভ
ঠিকমতো পঠনপাঠন হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। শনিবার সন্দেশখালি ২ ব্লকের বেড়মজুর তেভাগা শহিদ স্মৃতি বিদ্যালয়ে ওই ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রধানশিক্ষক পিনাকীরঞ্জন দাস ঠিক মতো পঠন-পাঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে বিকেল চারটে নাগাদ তালা খোলা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে ওই স্কুলটিতে দু’বার একই অভিযোগে এমন ঘটনা ঘটল।
স্কুলপড়ুয়াদের অগ্নিযুদ্ধের পাঠ দিলেন দমকলকর্তারা। শনিবার, হাওড়া দমকলকেন্দ্রে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।