ডাকাতির পরে স্বামীর সামনে বধূকে ধর্ষণ

ছেলের মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে, দম্পতিকে মারধর করে দিন তিনেক আগে লুঠপাট চালিয়েছিল ডাকাতদল। এ বার স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। দু’টিই বসিরহাট থানা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে চাকুয়া পঞ্চায়েতের মির্জানগরে ওই ঘটনায় বুধবার সেখানে তদন্তে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইসি প্রসেনজিৎ দাস। ভাস্করবাবু বলেন, “ধর্ষণ ও লুঠপাটের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধর্ষিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৯
Share:

ছেলের মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে, দম্পতিকে মারধর করে দিন তিনেক আগে লুঠপাট চালিয়েছিল ডাকাতদল। এ বার স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। দু’টিই বসিরহাট থানা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে চাকুয়া পঞ্চায়েতের মির্জানগরে ওই ঘটনায় বুধবার সেখানে তদন্তে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইসি প্রসেনজিৎ দাস। ভাস্করবাবু বলেন, “ধর্ষণ ও লুঠপাটের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধর্ষিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।”

Advertisement

গত রবিবার রাতে মালতীপুর স্টেশনের কাছে বাইজিত বকরের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্কুলপড়ুয়া ছেলের মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। তার তিনদিনের মাথায় মির্জানগরে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডাকাতি করতে এসে শিশু ও মহিলাদের উপরে এমন অত্যাচারের ঘটনায় বাসিন্দারা শঙ্কিত।

চাকুয়া পঞ্চায়েতের মির্জানগরের গ্রামের ওই বাসিন্দা সব্জি ব্যবসায়ী। বুধবার রাতে এক ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে শুয়েছিলেন তিনি। অন্য ঘরে শুয়েছিল তাঁদের দুই ছেলে। পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানান, রাত ২টো নাগাদ তিন জন দুষ্কৃতী গ্রিলের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। প্রথমে তারা ছেলেদের দরজার বাইরে থেকে শিকল তুলে দেয়। তারপর তাঁদের ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। বছর আঠারো-কুড়ি বয়সের তিনজনের হাতেই ছিল শাবল। তিনি বলেন, “ঘরে ঢুকেই ওদের একজন বিছানায় উঠে আমাকে আক্রমণ করে। স্ত্রী বাধা দিলে তাঁকে শাবল দিয়ে মারে। আলমারির চাবি চায় ওরা। দিতে দেরি হওয়ায় ওদের একজন আমার মুখে শাবল দিয়ে মারলে বাঁ চোখে আঘাত লাগে। মুখের মধ্যে শাবল ঢুকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিলে স্ত্রী আলমারির চাবি দেয়। দুষ্কৃতীরা আলমারি খুলে ৬০ হাজার টাকা ও সোনা-রুপো মিলিয়ে প্রায় ৮-১০ ভরির গয়নাগাটি হাতিয়ে নেয়।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে ওই ব্যক্তি জানান, “লুঠ চালিয়ে দুষ্কৃতীরা আমাদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে দেয়। তারপর একজন স্ত্রীকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ঘরের মধ্যে দু’জনকে রেখে বাইরে থেকে শিকল তুলে চলে যায়। আমাদের চিৎকারে পড়শিরা উদ্ধার করে।” এ দিন থানায় তিনি বলেন, “আমাদের মারধর করে লুঠপাট চালিয়ে ফিরে যাবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তারপরেও ওরা যে ভাবে বউয়ের উপরে অত্যাচার করল তা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন