ডঙ্কা, কাঁসির মিছিলে মনোনয়ন জমা কপিলের, হান্ডা এলেন অ্যাম্বুল্যান্সে

ভোর পাঁচটায় বিছানা ছেড়ে দ্রুত স্নান সেরে নিলেন। যদিও এটা রোজকার ব্যাপার, তবে আজকের দিনটা অন্যরকম। কারণ এই প্রথম লোকসভা ভোটে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন তিনি অর্থাৎ বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী তথা মতুয়া সঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:২১
Share:

মাকে প্রণাম কপিলকৃষ্ণের।

ভোর পাঁচটায় বিছানা ছেড়ে দ্রুত স্নান সেরে নিলেন। যদিও এটা রোজকার ব্যাপার, তবে আজকের দিনটা অন্যরকম। কারণ এই প্রথম লোকসভা ভোটে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন তিনি অর্থাৎ বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী তথা মতুয়া সঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর।

Advertisement

বুধবার মনোনয়ন জমা দেবেন জানা থাকায় সকাল থেকেই বাড়িতে আসতে শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মী এবং মতুয়া ভক্তরা। বেরোনোর আগে প্রথমে গেলেন প্রয়াত হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে। সেখান থেকে গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে। সেখানে প্রণাম সেরে বাবা প্রয়াত প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের মন্দিরে। বাবাকে প্রণাম সেরে গেলেন মা বীণাপানি দেবীর (বড়মা) ঘরে। মাকে প্রণাম করে জানালেন, “মতুয়াদের সব ভোটই আমি পাব।”

বেরোবার মুখে স্ত্রী এগিয়ে দিলেন হরলিকসের গ্লাস। তার পর মৌরি। সেটা মুখে ফেলে উঠে পড়লেন গাড়িতে। দাদা গাড়িতে করে রওনা হওয়ার মিনিট পাঁচেক পরেই বেরোলেন রাজ্যের ত্রাণ ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। মতুয়া ভোট নিয়ে দাদার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, “শুধুমাত্র মতুয়াদের ভোটের উপরে দাঁড়িয়ে কেউ জেতে না। মতুয়ারা আমাদের (তৃণমূলের) সঙ্গে আছেন, এটা ভাল। তবে ভোটে জিততে একটা দিক দেখলে হবে না। সকলকে নিয়েই চলতে হবে।”

Advertisement

তাঁদের দুই ভাইয়ের বিরোধকে বিরোধীরা অস্ত্র করছে। এখন সম্পর্ক কেমন?

মঞ্জুলকৃষ্ণর কথায়, “কিছু লোক এ ধরনের অপপ্রচার করে মজা পান।”

হুইল চেয়ারে রুমেশ কুমার হান্ডা

বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এ দিন মতুয়ারা কাঁঁসি, ডঙ্কা, বাজনা নিয়ে প্রথমে শেঠপুকুরের মাঠে জড়ো হন। সেখান থেকে পুরুষ ও মহিলাদের মিছিল প্রার্থীর সঙ্গে বারাসতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে পৌঁছয়। মিছিলে ‘হরিবোল’ ধ্বনির পাশাপাশি শোনা গিয়েছে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ ধ্বনিও। তৃণমূল প্রার্থীর একটু পরেই হুডখোলা গাড়িতে অসুস্থ অবস্থাতেই মনোনয়ন জমা দিতে এলেন দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তপন শিকদার। কর্মীরা তাঁকে ধরে গাড়ি থেকে নামালেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুমেশ কুমার হান্ডা। দিন কয়েক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম বিজেপি প্রার্থীকে হুইল চেয়ারে করে জেলাশাসকের দফতরে নিয়ে যান কর্মী-সমর্থকেরা। এ দিন মনোনয়ন জমা দিয়ে তপনবাবু বলেন, “বিজেপি-ই দেশের প্রকৃত বিকল্প হতে চলেছে। সিপিএম দেনা করেছিল তৃণমূল এসে সেই দেনা বাড়িয়েছে।”

বিজেপি প্রার্থী যাই-ই দাবি করুন, এ দিন তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে মতুয়া ভক্তদের ডঙ্কা, বাজনার নিনাদের কাছে অন্যদের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই ম্লান।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন